লাল চাল বনাম সাদা চাল

সাদা শান্তির প্রতীক হলেও, স্বাস্থ্য সচেতন হতে গিয়ে খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে সাদা খাবার, যোগ হচ্ছে লাল আটা বা চাল। আসলেই কি রঙিন খাবার সাদার চাইতে বেশি উপকারী?  

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2017, 02:06 PM
Updated : 4 Feb 2017, 02:06 PM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাবারের রংয়ের ছড়াছড়ি যত বেশি, পুষ্টিগুণও ততটাই বেশি- এই ধারণার খপ্পড়ে পড়ে সাদা রংয়ের খাবারগুলো বাদ পড়ে যাচ্ছে প্লেট থেকে।

রং মানেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ ইত্যাদি। এই ধারণার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে রঙিন ‍চেহারা নিয়ে প্লেটে আবারও জায়গা করে নিতে চায় লাল চালের ভাত।

গবেষণা অনুযায়ি, প্রচলিত সাদা ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। তবে পার্থক্য রয়েছে।

সাদা চাল: স্বাস্থ্যের জন্য মোটামুটি ভালো। তবে এটি কলে ভাঙানো, পলিশ করার ফলে প্রাকৃতিক স্বাদ ও চেহারা পরিবর্তিত হয়। প্রক্রিয়াজাতের কারণে এতে থাকা লৌহ, ভিটামিন, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম-সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

অপরদিকে প্রক্রিয়াজাত করা না হলেও এর পুষ্টিগুণ হোল গ্রেইন বা প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি এমন চালের পুষ্টিমানের সমান হয় না।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ তরনজিৎ কৌর বলেন, “প্রক্রিয়াজাত এই চালের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা বেশি হওয়া এটি শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। লাল চালের তুলনায় এতে আঁশ কম থাকে।”

লাল চাল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুরি এই চাল। সাদা চাল বাদ দিয়ে লাল চালের ভাতে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে ডায়বেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের সমস্যা ইত্যাদির আশঙ্কা কমতে দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। রক্তচাপ কমাতেও লাল চাল উপকারী। পাশাপাশি প্রদাহ এবং ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়ক এটি।

সব সাদা চালই খারাপ নয়: ব্যতিক্রমধর্মী সাদা চালের মধ্যে আছে বাসমতি চাল ও ‘হোল গ্রেইন’ চাল। এদের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা তুলনামূলক কম। হজম হয় ধীরে তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ হুট করে বাড়িয়ে দেয় না।

বাসমতি চালে আছে ভিটামিন বি, কর্পূর এবং ম্যাগনেসিয়াম- যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক উপাদানে ভরা তুষ যোগ করলে বাসমতি চাল একটি উপকারী খাবার।