২০০৭ সালে শ্যামলী সিনেমা হল ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৪ সালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একই স্থানে আবারও মাথা তুলে দাঁড়ায়, ভবনের নাম দেয়া হয় শ্যামলী স্কয়ার। ক্রমেই ভবনের অন্যান্য তলায় গড়ে ওঠে জামা-কাপড়ের দোকান, সেলুন, পার্লার, টেইলার্স, গয়নার দোকান, মোবাইলের দোকান ইত্যাদি।
আর ভবনের ষষ্ঠ তলায় চালু হয় ফুডকোর্ট। যেহেতু মার্কেটটি নতুন, তাই ক্রেতা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে ছয় তলার ফুডকোর্টের ক্ষেত্রে তা উল্টো।
রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারিদের মতে বিগত চার থেকে পাঁচ মাস ধরে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এইসব খাবার দোকানের। যার কৃতিত্ত্ব অনেকটাই ফেইসবুকের। সেট মেন্যুই যেন এখানে প্রধান খাবার।
ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, সবজি, তন্দুরি চিকেন, সুপ, ফালুদা, মুরগির মাংসের তরকারি, পাস্তা, নুডুলস- পরিচিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটি বাছাই করে একটি প্লেটে সাজিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন দামের এই সেট মেন্যুগুলো। দামটা ঘোরাফেরা করে ১শ’ টাকা ৪শ’ টাকার মধ্যে।
কথা হল কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকের সঙ্গে।
ক্যাফে থ্রিসিক্সটি: তিন মাস বয়স এই দোকনের, জানালেন ম্যানেজার মোহাম্মদ সুজন। আরও জানান, নিজস্ব বসার জায়গা আছে ১০ জনের। ১৭০ টাকা থেকে ২শ’ টাকায় তিনটি সেট মেন্যু রয়েছে এখানে। এছাড়াও আছে ১১ ধরনের বার্গার। এদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় পেরি পেরি বার্গার (১২০টাকা), নাগা বার্গার (১৫০ টাকা) ও সাব-স্যান্ডউইচ (১৪০-১৬০ টাকা)। ওয়াইফাই আছে।
রেলিশ ফুডশ: “নিজস্ব ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে আমাদের”— বললেন মালিক চৌধুরি হাবিবুল মিজান। মার্কেটের প্রথমদিকের খাবারের দোকানগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১শ’ টাকা থেকে ২২০ টাকায় মিলবে ছয় ধরনের সেট মেন্যু। তবে গতবাঁধা খাবারের বাইরে কিছু ব্যতিক্রমী খাবার মিলবে এখানে।
হাবিবুল মিজানের মতে, “আমাদের বিশেষ পরিবেশনা ১৬ পরতের পরোটা যাতে ব্যবহার করা হয় হাঁড়িমরিচ অথবা পুদিনা পাতা, দাম ১৪৫ টাকা। মূল মেন্যুর বাইরে ক্রেতাদের অর্ডারের ভিত্তিতে রুপচাঁদা ফ্রাই দিচ্ছি আমরা ২৭৫ টাকায়। মুরগির মাংসের স্টেক মিলবে ২১৫-২৫৫ টাকায়।”
ওয়াইফাই আছে।
তিনি আরও বলেন, “জানুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। ফেইসবুকের কল্যাণে সেট মেন্যু বেশি জনপ্রিয় হলেও আমাদের মূল উদ্দেশ্য কফি ও মোমো। কফি তৈরিতে কফি গ্লোরি’র বিন ব্যবহার করা হয়, ধরন ভেদে দাম ৮০ টাকা থেকে ২শ’ টাকা। আর ১৬০ টাকায় দিচ্ছি ৮টি মোমো। এছাড়াও আছে ১০ ধরনের বার্গার, দাম ১৪০-১৮০ টাকা।”
মেহেরজান: রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন শিকদারের মতে এটিই মার্কেটের সবচাইতে পুরানো খাবারের দোকান। নিজস্ব এবং কমন স্পেস মিলিয়ে মোট দেড়শ জনের বসার ব্যবস্থা আছে এখানে। আর খাবার অর্ডার করলে এদের নির্দিষ্ট বসার স্থানেই বসতে হবে। সেট মেন্যু আছে মোট ১০টি, দাম ১৭৫ থেকে ৩৬৫ টাকার মধ্যে। ওয়াইফাই আছে।
এছাড়াও আছে ব্যাকস্ট্রিট ক্যাফে, ডোমেস্টিকাস, মেক্সিকান স্পাইস, ক্যাফে ফার্ট লাভ, ক্রেইজি ডাইন, ফুড ফোলিক ইত্যাদি খাবারের দোকান।
সকাল ১১টা থেকে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।