প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস

বিকল্প পন্থায় আমিষ গ্রহণে অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘প্রোটিন শেইক’ বা প্রোটিন সমৃদ্ধ পানীয়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রোটিন গ্রহণই সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2017, 11:06 AM
Updated : 29 Jan 2017, 11:06 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে ভারতীয় তারকাদের শরীরচর্চা প্রশিক্ষক শিভোহাম বলেন, “শরীরচর্চা জগতের সম্ভবত সবচাইতে বড় ভুল হল আসল খাবার বাদ দিয়ে সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্প পুষ্টির উৎসের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া।”

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য রয়েছে বিভিন্ন খাবার।

ডিম: পেশি গঠনের জন্য আদর্শ খাবার। আমিষযুক্ত অন্য যে কোনো খাবারের তুলনায় এতে আমিষের পরিমাণ বেশি। পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড তো আছেই।

মুরগির বুকের মাংস: আমিষের সর্বোত্তম উৎস হিসেবে ডিমের পরই মুরগির মাংসের স্থান। চামড়া ছাড়া খেলে এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর আমিষ।

স্যামন মাছ: অন্যান্য যে কোনো সামুদ্রিক খাবারের তুলনায় স্যামন মাছ থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এমনটাই বিশ্বাস পুষ্টিবিদদের। এছাড়াও এই মাছে আছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

ছানা: চর্বি কম এমন দুধ ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিন। এতে দুধ ভেঙে ছানা তৈরি হবে। এবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।

গমের ভুসি: খাবারে গমের ভুসি মেশানো কিংবা এ থেকে তৈরি রুটির উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই উদাসিন। শরীরের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম গমের ভুসি।

বীজজাতীয় খাবার: বিভিন্ন ধরনের শিমের দানা, মটরশুঁটি ইত্যাদি সবই প্রোটিনের ভালো এবং উপকার উৎস। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারি এগুলো।

বাদাম ও কুমড়ার দানা: কাজুবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তিসি ও কুমড়ার বিচিতে প্রচুর প্রোটিন মেলে।

ছবি: রয়টার্স।