রান্নাঘর সাজানোর দশ উপায়

স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে মনের মতো করে রান্নাঘর সাজাতে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2017, 10:14 AM
Updated : 7 Jan 2018, 09:38 AM

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রান্নাঘরে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা, সঠিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।

যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা রাখা: আধুনিক রান্নাঘরের নকশা জায়গার পরিমানের উপর নির্ভর করে। যেমন- রান্নাঘরের জায়গা যদি ছোট হয় তাহলে সমান্তরাল বা সোজাভাবে নকশা করা সব চেয়ে ভালো। একটু বড় আকারের রান্না ঘর হলে তা ইংরেজী ‘এল’, ‘ইউ’ অথবা আইল্যান্ডের মতো করে নকশা করা যায়। 

বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা: রান্নাঘর নকশা করার আগেই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা কেমন হবে তা ঠিক করা উচিত। বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টের রান্নাঘর নকশা করে। কারণ যে কেউ, যে কোনো সময় একটি সাধারণ বাড়িকে পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করতে পারেন। রান্নাঘরের পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রাখা উচিত। তাছাড়া রান্নাঘরে যথেষ্ট আলো ও বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা যাচাই: ড্রয়ার, কেবিনেট বা উঁচু সেলফ অনুযায়ী সংরক্ষণ ব্যবস্থা নির্বাচন করা প্রয়োজন। ব্যবহার উপযোগিতার উপর ভিত্তি করে ধারণ ক্ষমতা নির্ভর করে। যেমন- দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক যে কোনো সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য সংরক্ষণ করতে পারেন। তাছাড়া পরিবারে যদি বৃদ্ধ কেউ থাকেন সেক্ষেত্রে ড্রয়ার ব্যবস্থা সংরক্ষণ হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত। কারণ এটি ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

কোটা বাছার জায়গা: সাধারণত বড় আকারের রান্না ঘরে ‘কাউন্টার টপ’ বা কোটা বাছার জায়গা দেখা যায়। এই জায়গার প্রতি আলাদা ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কোটা বাছার স্থানটি কী উপাদান দিয়ে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে ঘরে সাধারণত কী ধরনের রান্না হয় তার উপর ভিত্তি করে।

ভালো প্রতিফলক রং নির্বাচন: রান্না ঘরে কালো এবং বাদামি রং ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এসব রং ভালো ভাবে আলো প্রতিফলন করতে পারে না। রান্নাঘরের দেওয়াল ও ছাদে আলোর সুব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বাতাস চলাচল ঠিক রাখার জন্য উন্নত চিমনি ব্যবহার করা উচিত। 

ড্রয়ার বনাম কেবিনেট: কেবিনেটকে কয়েকটি ড্রয়ারে বিভক্ত করে পণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যায়। কাঠ ও লোহার সমন্বয়ে গঠিত কেবিনেট দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।

মসৃণ কাজের জায়গা: রান্না, কাটা-বাছা ও ধোয়ার জন্য মধ্যবর্তী জায়গা সুপরিকল্পিতভাবে করা উচিত। না হলে এটি কাজ করার সময় অহেতুক ঝামেলা ও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য এই স্থানগুলো চুলা থেকে কমপক্ষে তিন ফিট দূরে রাখা প্রয়োজন। 

বাতাস চলাচল ব্যবস্থা: রান্নাঘরের নকশা তৈরির সময় বড় জানালা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। জায়গার স্বল্পতা থাকলে চিমনি এবং ‘এগজোস্ট ফ্যান’ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ছবি: রয়টার্স।