কোন ব্যথার জন্য কোনটি উপকারী তা জানতে হলে ব্যথার ধরন সম্পর্কে ধারণা থাকা চাই। কোন স্থানে ঠাণ্ডা বা তাপ প্রয়োগ করতে হবে সেটাও জানতে হবে।
এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
বাতের ব্যথা: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, যা ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোগায় তাদের জন্য চাই তাপনির্ভর চিকিৎসা। হাড়ের জোড়ের পেশি ছিড়ে যাওয়া থেকে বাতের ব্যথা হয়। এমন ব্যথার জন্য তাপ উপকারী। কারণ এতে জোড়ের শক্তভাব প্রশমিত হয় এবং পেশি শিথিল হয়।
মাথাব্যথা: হঠাৎ করে জেগে ওঠা ব্যথার ক্ষেত্রে বরফ উপকারী। কারণ এটি ব্যথার অনুভুতিকে ভোঁতা করে এবং প্রদাহ কমায়। মাথাব্যথার সময় মস্তিষ্কের স্নায়ু ও রক্তনালীতে ব্যথা হয়, যা উপশমে বরফ উপকারী।
ঘাড় ব্যথা: ঘাড় ব্যথা সারাতে বরফ ব্যবহারের ভুল করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে মাংসপেশিকে শিথিল করতে তাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
রগে টান পড়া: পেশি বা রগে টান পড়া সারাতে বরফ ও তাপ উভয়ই জরুরি। ব্যথার অনুভূতি কমাতে প্রথমে বরফ দিতে হবে। তবে ব্যথা সেরে গেলেও পেশির শক্তভাব থেকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাপ দিয়ে পেশি শিথিল করতে হবে।
লিগামেন্টের ব্যথা: জোড়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া বা বর্ধিত হয়ে যাওয়ার কারণে যে ব্যথা হয় তার জন্য প্রথমেই চাই ঠাণ্ডা চিকিৎসা। পরে পেশি শিথিল করতে তাপ দিতে হবে।
টেন্ডিনাইটিস: হাড় ও পেশির সংযোগকারী টিস্যুতে হওয়া প্রদাহ থেকে তৈরি ব্যথাকে টেন্ডিনাইটিস বলা হয়, উপশমে চাই বরফ।
টেন্ডিনোসিস: টেন্ডিনাইটিসের দীর্ঘ মেয়াদী অবস্থাকে বলা হয় টেন্ডিনোসিস। এসময় রগে হওয়া প্রদাহ ছড়িয়ে কোষে প্রবেশ করে। অন্যান্য দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথার মতো এক্ষেত্রেও চাই তাপ চিকিৎসা।