আগে সাদা চুল ঢাকতে মেহেদি ব্যবহারের জনপ্রিয়তা থাকলেও সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ডাই বা চুলের রং। বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে অনেকেই মেহেদি বেশি পছন্দ করেন।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে চুল রং করতে মেহেদি নাকি রং- কোনটা উপযোগী তারই কিছু দিক তুলে ধরা হল।
মেহেদি: শুধু চুল রং করতে নয় চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও মেহেদি বেশ উপকারী। প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এর কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। চুলে হালকা রংয়ের আভা যোগ করার পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং কোমল রাখে। তাছাড়া চুলে উজ্জ্বল ভাব ফেরাতেও মেহেদি বেশ উপকারী। আর মেহেদির রংও থাকে বেশ অনেক দিন।
কিন্তু মেহেদিতে রংয়ের কোনো ভিন্নতা পাওয়া যাবে না। কয়েকবার ব্যবহারে রং কিছুটা গাঢ় হতে পারে। তবে এর বেশি কিছু নয়। বাজারে কালো মেহেদি নামে যা পাওয়া যায় তাতে মূলত মেহেদির আসল উপাদানের চেয়ে কেমিকলের মাত্রাই বেশি থাকে, তাই তেমন কোনো উপকার পাওয়া যায় না। এছাড়া অনেকের চুল মেহেদি ব্যবহারের ফলে কিছুটা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মেহেদি চুলে লাগানো বেশ ঝামেলার। তাজা মেহেদি বেঁটে চুলে লাগাতে গেলে কাপড়ে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং হাতেও রং লেগে যায় অনেক সময়।
কেমিকল ডাই: প্যাকেটজাত হেয়ার কালার বা চুলের রং এখন বেশ সহজলভ্য। বাজারে নামীদামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডাই পাওয়া যায় এবং এগুলোতে রংয়ের বৈচিত্র্য থাকে অনেক। মেহেদির সঙ্গে তুলনা করলে এই ধরনের রং চুলে ব্যবহার করা যেমন সহজ তেমনি রংও হয় চটজলদি।
সুবিধাজনক হলেও কেমিকল হেয়ার কালার চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বাইরে থেকে চুল সুন্দর করে তুললেও চুল নষ্ট করে ফেলতে পারে ডাই। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ডাই বেশ ক্ষতিকর। অনেক ক্ষেত্রে চুল পড়া, চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া এবং রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সব দিক থেকে চিন্তা করলে চুলের জন্য মেহেদি বেশি উপকারী। তবে ‘হেয়ার কালার’ ব্যবহার করতে চাইলে ভালোমানের পণ্য বেছে নিতে হবে। সব চেয়ে ভালো হয়, যদি চুল রং করতে অভিজ্ঞ কারও কাছে চুলে রং করানো যায়।
এছাড়াও রং করানোর পর চুলের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। পাশাপাশি একবার রং করানোর পর বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে তবেই নতুন করে রং করানো উচিত।
ছবির মডেল: আশা। মেইকআপ: হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল। ছবি: ই স্টুডিও।