ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রাথমিক লক্ষণ

‘ক্যান্সার’য়ের অ্যান্সার নেই’- এ কথা বহুল প্রচলিত। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই কথাটি একদম ভিত্তিহীন। রোগটি কোন ধাপে নির্নয় করা হয়েছে এটি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2016, 10:26 AM
Updated : 20 Nov 2016, 10:28 AM

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন সার্জারি বিশেষজ্ঞ [এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (সার্জারি) বিশেষ ট্রেনিং বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি] ডা. মীর রাশেখ আলম অভি।

আগেভাগে নির্ণয় করা গেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। তবে বিভিন্ন কারণে প্রাথমিক ধাপে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয় না। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হল প্রাথমিকভাবে লক্ষণগুলো অবহেলা করা।

তাই নিচের বিষয়গুলো যদি নিজের ক্ষেত্রে মিলে যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে

* ক্ষুধামন্দা। * প্রস্রাব, পায়খানা বা কাশির সঙ্গে রক্ত। * সহজে ভালো হচ্ছে না এমন জ্বর বা কাশি। * মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতা। * গলার আশেপাশে চাকা। * হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাস। * বগল বা কুঁচকিতে চাকা। * রাত্রে অতিরিক্ত ঘামানো। * খাবার গিলতে সমস্যা। * চামড়ায় দৃশ্যমান পরিবর্তন (তিল ইত্যাদি)

পুরুষদের ক্ষেত্রে

* প্রস্রাব বা বীর্যের সঙ্গে রক্ত। * প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় ব্যথা। * অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া।

নারীদের ক্ষেত্রে

* স্তনে চাকা। * বগলে চাকা। * স্তনবৃন্ত পরিবর্তন (ভাঙা, নিঃসরণ ইত্যাদি)। * স্তনের যে কোনো পরিবর্তন ( রং, চামড়ায় ঘা ইত্যাদি)। *   দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তপাত। * ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত।

উপরের লক্ষণগুলো থাকা মানেই ক্যান্সার নয়। তবে লক্ষণগুলো থাকলে বিশেষকরে ৪০ বছর বয়সের পরে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সচেতনতাটুকু ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার অনেক কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সচেতন থাকলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি ও চিকিৎসক দুজনেরই স্বস্তির কারণ। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।