কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ বয়সে ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা বেশি থাকলে বৃদ্ধ বয়সে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
গবেষকরা বলেন, বিএমআই বেশি হলে শরীরে বাড়তি প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা মস্তিষ্ক এবং স্মৃতিশক্তি উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
গবেষণার প্রধান গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার কাইল বুরাসা বলেন, “আপনার বিএমআই’য়ের মাত্রা যত বেশি, শরীরের প্রদাহ ততই বেশি হবে।”
পর্যালোচনার জন্য ‘ইংলিশ লংজিটিউড স্টাডি অফ এইজিং’ শীর্ষক এক জরিপের তথ্যাদি পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। ৫০ ও ততোধিক বয়সি ইংরেজদের স্বাস্থ্য, শারীরিক অবস্থা, সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা নিয়ে ১২ বছরের তথ্য নেওয়া হয়েছিল ওই জরিপে।
৯ হাজার ও প্রায় সাড়ে ১২ হাজার প্রাপ্তবয়স্ককে দুই দলে ভাগ করে ছয় বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
এই দুই দলের প্রত্যেকের বিএমআই, শারীরিক প্রদাহ ও স্মৃতিশক্তির তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা। দুই দলেই একই ফলাফল পাওয়া যায়। ‘ব্রেইন, বিহেভিয়ার অ্যান্ড ইমিউনিটি’ নামক জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
বুরাসা বলেন, “আমরা দেখেছি, গবেষণার শুরুতে যাদের বিএমআই’য়ের মাত্রা বেশি ছিল, পরবর্তী ৪ বছরে তাদের শরীরে সিআরপি’র মাত্রার পরিবর্তন বেশি দেখা গেছে।”
সিআরপি মানে, সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন। এটি রক্তের একটি চিহ্নিতকারী উপাদান যা শরীরে প্রদাহের মাত্রা চিহ্নিত করে।
গবেষণার প্রথম ৪ বছরে সিআরপি’র মাত্রায় পরিবর্তন এবং ছয় বছরে স্মৃতিশক্তি পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অংশগ্রহণকারীদের ‘বডি ম্যাস’ বয়সের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়, যার কারণ প্রদাহ- ব্যাখ্যা করেন বুরাসা।