সুঠাম দেহের অধিকারীরাও নিজের অজান্তেই খাদ্যাভ্যাসের কারণে যে ভুলগুলো করেন তা তুলে ধরেছে শরীরচর্চা-বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
ইচ্ছেমতো খাওয়া: খাদ্যাভ্যাস নিয়ে চিন্তিত থাকলেও দাওয়াতে গিয়ে হুশ থাকে না অনেকেরই। ‘একদিন একটু বেশি খেলে কিছু হবে না, ব্যায়াম করে পুষিয়ে নেব’- এমনটা ভাবলে ওজন কমানো সম্ভব নয়। ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সবই হিসেবের ব্যাপার। সাড়ে তিন হাজার অব্যবহৃত ক্যালরি থেকে ওজন বাড়ে এক পাউন্ড। ব্যায়াম করে পাঁচশ ক্যালরি পোড়ালেও প্রতিদিন একশ ক্যালরি বাড়তি জমলেই মাস শেষে আপনার এক পাইন্ড ওজন বাড়তে পারে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে সাময়িকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও, ইচ্ছা মতো খাওয়ার কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে আবার ওজন বাড়বে। কারণ বয়স বাড়লে শরীরের ক্যালরি চাহিদা কমে। ফলে একই খাদ্যাভ্যাসে বেশি বয়সে ওজন বাড়বে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: ব্যায়াম করার জন্য ঘুম বাদ দেন অনেকেই। সুস্বাস্থ্য যার লক্ষ্য তার জন্য এই অভ্যাস অভিশাপ। অপর্যাপ্ত ঘুমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হৃদরোগ, বার্ধক্য ও এ সম্পর্কিত রোগবালাই এবং ওজন বৃদ্ধি। ঘুমের সময় শরীরের মেরামত হয়। তাই ঘুমকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অসম খাদ্যাভ্যাস: খাদ্যাভ্যাসে বেশি আমিষ, কার্বোহাইড্রেট কম রাখার প্রবনতা আছে অনেকের মধ্যেই। সুস্থ থাকার জন্য শরীরে চাই ভিটামিন, খনিজ, চর্বি, আমিষ এবং কার্বোহাইড্রেট। এদের যে কোনো একটিরও যদি ঘাটতি থাকা যাবে না।
অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট: প্রেটিন শেইক ও অন্যান্য সাপ্লিমেন্টগুলো হতে পারে ত্বক, স্বাস্থ্য এবং চুলের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এসব গ্রহণের পূর্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ওজন বেশি কমে যাওয়া: নিজেকে দেখতে কেমন লাগছে বা শারীরিক অনুভূতির উপরে ভিত্তি না করে শারীরিক গঠন অনুযায়ি ওজন কত হওয়া উচিত সেটা জানা দরকার। কারণ ওজন বেশি কমে গেলে উপকারের বদলে নতুন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ছবি: রয়টার্স।