বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু লালন-পালন বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে প্রযুক্তি কীভাবে একটি শিশুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা লাভবান করতে পারে—
উপকারী দিক
লেখাপড়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ: বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেসব শিশু ওয়েবে প্রবেশ করার সুযোগ পায় তারা অন্যদের তুলনায় অধিক তথ্যে সমৃদ্ধ হয়। এ ছাড়া লেখাপড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত গেইমস স্কুলের লেখাপড়ায়ও উন্নতি ঘটায়।
প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি: যে সকল শিশু তাদের ভাইবোন বা বন্ধুদের সঙ্গে কম্পিউটার গেইম খেলে তারা ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়ে সচেতনতা অর্জন করে ফেলেছে। ফলে যখন তারা বাস্তব জীবনে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে সেটাকে সুস্থভাবে গ্রহণ করতে পারবে।
অপকারিতা
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: বিশেষজ্ঞরা দাবী করেন যেসব শিশুর গ্যাজেটের প্রতি জোক থাকে তারা চোখের সমস্যা, পিঠের ব্যথার মতো কতগুলো শারীরিক সমস্যায় ভোগে। এগুলোর সঙ্গে অধিক সময় কাটানোর ফলে তাদের শারীরিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং তারা মোটাসোটা হয়ে যায়।
সামাজিকভাবে অনুপযোগী: যে শিশু সারাদিন নিজ নিজ ডিভাইস নিয়ে বসে থাকে তারা অন্য মানুষের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি করতে বাধাগ্রস্ত হয়। তারা নিজের পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইন্টারনেটের মাধম্যে যত স্বাভাবিক আচরণ করে বাস্তব জীবনে ততই অস্বাভাবিক আচরণ করে।