প্রাইমারের ব্যবহার

আমাদের দেশে অনেকের কাছে নতুন হলেও বিশ্বজুরে মেইকআপ সুন্দর এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে দারুণ জনপ্রিয় একটি প্রসাধনী মেইকআপ প্রাইমার।

ইরা ডি. কস্তাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 10:56 AM
Updated : 30 August 2016, 10:58 AM

কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে প্রাইমার বেশি পরিচিত ছিল না। তবে এখন ইউটিউব, ফেইসবুক এবং অনলাইন শপিংয়ের বদৌলতে মেইকআপ প্রাইমার বেশ পরিচিত একটি প্রসাধনী।

মেইকআপের শুরুতেই পরিষ্কার ত্বকে প্রাইমার ব্যবহার করতে হয়।

প্রাইমারের ব্যবহার এবং এর উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন মেইকআপ শিল্পী এবং প্রশিক্ষক ফারজান মিতু।

শিল্পীরা ছবি আঁকার শুরুতে ক্যানভাসে বিশেষ ধরনের প্রাইমার ব্যবহার করে থাকেন। যাতে রং আরও উজ্জ্বল হয় এবং দীর্ঘদিন একই রকম থাকে। তেমনি মেইকআপ দীর্ঘ সময় একই রকম রাখতে শুরুতে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়।

মিতু বলেন, “অনেক মেইকআপ আর্টিস্ট প্রাইমার ব্যবহারের বিষয়টি অতটা গুরুত্ব দেন না। তারা মনে করেন এই ধাপ মোটেও অতটা কার্যকর নয়। আবার অনেকেই প্রাইমার বাদ দিয়ে মেইকআপ শুরু করেন না। তবে এক্ষেত্রে আমি পরামর্শ দেবো অন্যের কথা না শুনে বরং নিজেই প্রাইমার ব্যবহার করে এর পার্থক্য বুঝে নেওয়ার।”

মেইকআপ যেন ত্বকে সুন্দরভাবে মিশে যায় সেজন্য প্রাইমার ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি ত্বকের বাড়তি তেলতেলেভাব দূর করা অথবা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা, ত্বকে আলাদা উজ্জ্বলতা যুক্ত করা ইত্যাদি কারণেও প্রাইমার ব্যবহার করা হয়।

যেসব কারণে প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত-

লোমকূপের সমস্যা সমাধানে প্রাইমার: অনেকের ত্বকেই বড় লোমকূপ সমস্যা থাকে। বিশেষ করে নাকের আশপাশে এবং ঠোঁটের নিচে এই সমস্যা বেশি থাকে। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এই সমস্যা বাড়তে থাকে।

লোমকূপ বড় হলে মেইকআপ সুন্দরভাবে বসে না এবং মেইকআপের পর ওই অংশ দেখতে আরও খারাপ দেখায়। এ সমস্যার সমাধানে মেইকআপের শুরুতে ‘পোর ইরেজার প্রাইমার’ ব্যবহার করা যায়। এই ধরনের প্রাইমারে এমন উপাদান থাকে যা লোমকূপগুলো ভরাট করে দেয়।

অথবা ‘পোর ব্লারিং প্রাইমার’ ব্যবহার করা যায় যা লোমকূপগুলো হালকা করে ত্বক মসৃণ দেখায় এবং মেইকআপ সুন্দরভাবে বসে।

রংয়ের সামঞ্জস্যতা আনতে প্রাইমার: ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। যেমন কারও ত্বকে লালচেভাব বেশি, কারও ক্ষেত্রে হলদেটে হয়ে থাকে বা কালচেভাব ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে ‘কালার কারেকটিং’ পদ্ধতিটি বেশ পরিচিত যার জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়। তবে মেইকআপের শুরুতে ত্বকের রংয়ে সামঞ্জস্যতা আনতে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়।

যাদের ত্বকে লালচেভাব বেশি তারা সবুজ প্রাইমার এবং হলদেভাব ঠিক করতে বেগুনি প্রাইমার ব্যবহার হয়।

ত্বকের ধরন: তৈলাক্ত, শুষ্ক, মিশ্র—একেক জনের ত্বক একেক রকম। আবার কারও ত্বকে উজ্জ্বলতা প্রয়োজন। তাই ত্বকের ধরন বুঝে প্রাইমার বেছে নিতে হবে। নতুবা মন মতো ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ফলাফল: মেইকআপ কেমন হবে সেক্ষেত্রেও একেক জনের পছন্দ আলাদা। অনেকে একদম ‘ম্যাট লুক’ পছন্দ করেন আবার অনেকের পছন্দ ‘ডিউই লুক’। এক্ষেত্রেও প্রাইমারে ব্যবহার কার্যকর।

একেক ধরনের মেইকআপের জন্য একেক ধরনের প্রাইমার ব্যবহার করা যায়।

ছবি: দীপ্ত।