নিয়মিত পরিচর্যা করলে কমদামি মোটরসাইকেলও প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
যন্ত্রাংশ: ঢাকায় মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ কেনার আদর্শ স্থান বংশাল, মিরপুর ১০ নম্বর ও বাংলামটর। মোটরসাইকেল ও এলাকা ভেদে যন্ত্রাংশের দামের তারতম্য হয়।
দরদাম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিলেন বাংলামটরের সেন্ট্রাল বাইক সার্ভিস দোকানের মালিক শহীদ আহমেদ।
যন্ত্রাংশ আছে অসংখ্য। ক্লাচ প্লেট পাওয়া যাবে ৩শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। সিগনাল লাইট মিলবে ৮০ থেকে ৫শ’ টাকায়। হেডলাইট, সিগনাল লাইটের বাল্বগুলো মিলবে ৩০ থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে।
বাম্পার মিলবে ১ হাজার টাকার মধ্যে। লুকিং গ্লাসের দাম পড়বে দেড়শ থেকে দেড় হাজার টাকা। ব্রেক কেবল, ক্লাচ কেবল, চোক কেবল মিলবে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকায় আর শুধু তার মিলবে ৩০ টাকায়।
বিভিন্ন ধরনের তালা মিলবে দেড়শ টাকা থেকে ৫ হাজায় টাকায়।
হেলমেট ৫শ’ থেকে ১০ হাজার টাকা। স্পার্ক প্লাগের দাম ৫০ থেকে ২শ’ টাকা। ৭শ’ থেকে ৮ হাজার টাকায় মিলবে কার্বোরেটর।
রক্ষণাবেক্ষণ: চালানোর পরিমাণ ভেদে এক থেকে দুই মাস পরপরই মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করানো ভালো।
এছাড়াও খুঁটিনাটি কাজগুলো করিয়ে নিতে পারবেন একসঙ্গে।
তবে নিজে বসে থেকে কাজগুলো করিয়ে নিতে হবে। ১ হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটারে চালানোর পর মবিল পাল্টাতে হয়।
শহীদ আহমেদ জানান, ব্র্যান্ড ও গুণগত মানভেদে মবিলের দাম হয় ৪শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা। তবে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মানানসই হয় এমন মবিল বেছে নিতে হবে এবং নিয়মিত সেটাই ব্যবহার করা উচিত।