শৈশবের পোষা প্রাণী

হোক সেটা একটি কুকুর, বিড়াল, মাছ, কবুতর বা টিয়া পাখি, শৈশব কৈশোরে পোষা প্রাণীর সান্নিধ্য মানুষের মধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2016, 12:28 PM
Updated : 28 July 2016, 12:31 PM

তাছাড়া শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং সার্বিক আচরণের উন্নতি ঘটায়। জানিয়েছে শিশুপালন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—

সত্যিকার আনন্দ উপভোগ: বর্তমান যুগের শিশুরা অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর। তারা দিনের একটা বড় সময় কাটিয়ে দেয় ব্যাটারি চালিত খেলনা, মোবাইল, গেইমস এবং অ্যাপস নিয়ে। একটা সত্যিকার প্রাণী শিশুটিকে ঘুরে বেড়ানো এবং পরিশ্রম করার জন্য খানিকটা বাধ্যই করবে। কখনও নিজের গণ্ডি থেকে বের না হওয়া শিশুও একটা প্রাণীর জন্য দৌড়াতে তাকে খাওয়াতে যত্ন করতে চাইবে এবং এটা উপভোগও করবে।

হাসিখুশি শৈশব: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা ছোটবেলায় কোনো না কোনো প্রাণী পেলেছেন তাদের মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা অন্যদের থেকে বেশি হয়। তারা যখন পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটায় তখন তাদের দেহে মন ভালো রাখার হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়। যা তাদের অন্য সব সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

আদরের বন্ধু: লোমশ শরীরের প্রাণীরা জড়িয়ে ধরে আহ্লাদ করার জন্য একদম আদর্শ। এই আদর দুজনের মধ্যে একটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অনুভূতি জাগায়। অন্যভাবে দেখলে এরা সত্যিকার জীবনে নরম আদুরে খেলনা যাদের জড়িয়ে ধরে আদর করা যায়।

দায়িত্ব নেওয়া: পোষা একটা প্রাণী শিশুর মধ্যে কিছু দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষাটা তাদের মধ্যে খুব বড় একটা পরিবর্তন আনে। পোষা প্রাণীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটানো, তার সুযোগ সুবিধার নজর রাখা, তাকে খাওয়ানো, পরিষ্কার করা, তার সব কিছুর দেখভাল করার মাধ্যমে শিশুরা দায়িত্ব নিতে শেখে এবং সমস্যাও সমাধান করতে শেখে।

ছবি: রয়টার্স।