মেহেদির নকশা এবং রং কীভাবে গাঢ় করা যায় তারই কিছু পন্থা দিয়েছেন ফেইসবুক পেইজ ‘সুহাইলি’স মেহেদি’র সুহাইলি রৌফ।
তিনি বলেন, “বাজারে বিভিন্ন নামের গোল্ড মেহেদি পাওয়া যায় যা পাঁচ থেকে ১০ মিনিটে গাঢ় রংয়ের দাবী করে থাকে। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি কেমিকল। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করা উচিত। সম্ভব হলে মেহেদি ঘরে বেটেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।”
“বাজারে মেহেদিগুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়, এর সঙ্গে লেবুর রং ও তেল মিশিয়ে কোণ তৈরি করে নেওয়া যায়। গুঁড়া মেহেদি নিউ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে।” বললেন তিনি।
মেহেদি লাগানোর আগে অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ও মুছে শুকিয়ে নিতে হবে বলে জানান সুহাইলি। আর মেহেদি শুকিয়ে উঠিয়ে ফেলার পর পানি দিয়ে না ধুয়ে সামান্য তেল মাখিয়ে রাখার পরামর্শ দেন।
এছাড়া মেহেদি ওঠানোর পর পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা হাতে পানি না লাগানোই ভালো, এতে মন মতো গাঢ় রং পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক মেহেদি থেকে মন মতো গাঢ় রং পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যেসব মেহেদি থেকে দ্রুত গাঢ় রং হয় সেগুলো পুরোপুরি কেমিকল রং। এসব মেহেদি ব্যবহারে হাতের ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। যেমন, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, চামরা ওঠা, চুলকানো ইত্যাদি। তাই এ ধরনের মেহেদি এড়িয়ে চলাই ভালো। আর মেহেদি কেনার সময় তারিখ দেখে কেনা উচিত। কারণ পুরানো মেহেদিতে গাঢ় রং হয় না।”
মেহেদি যদি ঘরে বেটে কোণ তৈরি করা হয় তাহলে চাইলে কচি পেয়ারা পাতা, লেবুর রস, চা ইত্যাদি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই উপাদানগুলো মেহেদির রং গাঢ় হতে সাহায্য করে।
মেহেদি লাগানোর পর যখন শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ গুলিয়ে নিন। আঠালো মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে হালকা শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির উপর অল্প করে ছড়িয়ে দিন। এতে রং অনেকটা ফুটবে। তাছাড়া রাতে মেহেদি দেওয়াও ভালো, এতে অনেকটা সময় থাকে এবং রং গাঢ় হয়।
ঘরে বাটা মেহেদির রং কমলা হয়ে যায়। এই রং গাঢ় করতে চা পাতা জ্বাল দিয়ে তার মধ্যে সারা রাত মেহেদি পাতা বা মেহেদিগুঁড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন বেটে হাতে লাগাতে হবে। মেহেদিগুঁড়ার সঙ্গে এক চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে নিলেও রং গাঢ় হবে
ছবি সৌজন্যে: সুহাইলি’স মেহেদি।