ভালোবাসার সততা পরীক্ষা

ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয় না, ভালোবাসতে হলে হৃদয়ের মাঝে বসবাস করার চেষ্টাও থাকা চাই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2016, 12:19 PM
Updated : 13 June 2016, 12:19 PM

নতুন প্রেম হওয়ার পরে যেন শত প্রজাপতি পেটের মধ্যে বাসা বাঁধে। প্রতিনিয়ত অসাধারণ একটা ভালো লাগায় আবেশ মুড়িয়ে রাখে। তবে স্বপ্নের জগতে বাস্তবতা আসতেও সময় নেয় না। এত ভালো থাকায় সহসাই মনে শঙ্কা আসে, আসলেই এই ভালোবাসা সত্য তো?

সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, সম্পর্কের গভীরে যাওয়ার আগে এই ভালোবাসার সত্যতা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। এই যাচাইয়ের পদ্ধতিও তারা ব্যাখ্যা করেছে বিশদভাবে।

পরিচয় পর্ব:
সম্পর্ক হওয়া পরে সঙ্গীর পরিচিত জন এবং বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সঙ্গী যখন তার আপনজনদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এর অর্থ সম্পর্ক নিয়ে তার মনে কোনো দ্বিধা নেই এবং সে এই সম্পর্কটা সামনে নিয়ে যেতে চায়। তারপরেও যদি মনে কোনো কাঁটা বিঁধে তবে ভালো করে লক্ষ করতে হবে সঙ্গী যখন কারও সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে তখন তার চোখে মুখে আনন্দ বা গর্ববোধ ফুটে উঠছে কিনা। এই গর্ববোধই জানিয়ে দিবে সম্পর্কটি নিয়ে কতটা ঐকান্তিক হতে হবে।

পরিকল্পনার অনুপ্রেরণা দান: দুজনের সময় কাটানো বা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা অথবা নিছকই অন্যকে স্বপ্ন দেখানোর মতো কাজগুলোয় সঙ্গীর কতটা আগ্রহ রয়েছে এটা লক্ষ করা যেতে পারে। এই পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে নিজের অবস্থান বুঝে পেলেই কেবল সম্পর্কটাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া যায়, অন্যথায় নয়।

অঙ্গভঙ্গি: পাশাপাশি বসা, হাত ধরা, কাঁধে মাথা রাখার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার উষ্ণতা প্রকাশ পায়। ভালোবাসার সত্যতাও স্পর্শের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। এছাড়াও মুগ্ধতা, পোশাক, চুল ইত্যাদির প্রশংসার মধ্য দিয়েও ভালোবাসার গভীরতা অনুধাবন করা যায়।

সঙ্গীর কথা শোনা:
সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অন্যকে জানা, তার কথা শোনা। বলতে গেলে একটা একটা নির্ভুল পরীক্ষা; যেটা দিয়ে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় সম্পর্ক টিকবে কি টিকবে না। অনেকেই আছেন শুধু নিজের সম্পর্কে বলতে থাকেন অন্যের বিষয় আগ্রহী হন না। এটা নির্দেশ করে এই সম্পর্কে অন্য পক্ষের বক্তব্য খুব কম মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা। আবার অপরদিক এমন সঙ্গীও দেখা যায় যে শুধু অন্যের কথা শুনতেই চায় নিজের কথা বলে না। এটিও একটি ক্ষতিকর অভ্যাস। কেননা কেউ যদি নিজের সম্পর্ক কম বলে তবে তার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই সম্পর্কে উভয় পক্ষের বলা এবং শোনার একটা সাম্যাবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।
সঙ্গীর স্বপ্নে বিশ্বাস রাখা:
একসঙ্গে চলার মূলমন্ত্র হচ্ছে সুখে এবং দুঃখে পাশে থাকা। সুখেদুঃখে পাশে থাকতে হলে একে অপরের স্বপ্নে এবং কাজের উপর আস্থা রাখতে হবে। একজন প্রকৃত সাথী স্বপ্নে অনুপ্রেরণা যোগায় স্বপ্ন সফল করতে সহযোগিতা করে। তাই সঙ্গী যদি এমন হয় যে- পরিকল্পনায় আস্থা রাখে না, সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয় না, তবে সেই সম্পর্কের পেছনে সময় নষ্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ছবি: রয়টার্স।