লাইফস্টাইলবিষয় একটি ওয়েবসাইটের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৫ সালে গুগলকে করা প্রশ্নগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ যেটি জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তা হচ্ছে, হিল পরে একজন মানুষ কীভাবে সাবলীলভাবে হাঁটতে পারে!
কৌশল তো অবশ্যই রয়েছে। আর সেটা জেনে নিলে হিল জুতা পরে আছাড় খাওয়ার ভয় আর থাকবে না।
সঠিক মাপের জুতা: যদি মাপে বড় হয় তবে পা বার বার পিছলে সামনে চলে যাবে। আর জুতার মাপ যদি ছোট হয় তবে এটা পায়ে এঁটে বসবে। দুই অবস্থাতেই চলাচল করতে অসুবিধা হবে এবং হাঁটার ভঙ্গি টলমলে হবে।
সঠিক মাপের পাদুকা বলতে হিলের উচ্চতাও বোঝায়। খুব বেশি উচ্চতায় কেউই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে না। তাই তুলনামূলক কম হিলের পাদুকা পরাই উচিত।
আগে গোড়ালি পরে পায়ের পাতা: আমরা যখন হাঁটি তখন গোটা পা একবারে সামনের দিকে ফেলি। অনেকে মনে করেন নারীসুলভ সুন্দর হাঁটার জন্য আগে পায়ের আঙ্গুল পরে পায়ের বাকি অংশ ফেলে হাঁটা উচিত। তবে উঁচু পাদুকা পরে হাঁটতে গেলে সবার আগে গোড়ালি ফেলে শরীরের সমস্ত ভর গোড়লিতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এরপরে পায়ের বাকি অংশ ফেলে আগাতে হবে।
পিছলে যাওয়া রোধ: কিছু কিছু হিল জুতার তলা খুব পাতলা হয়। এই পাতলা তলা সহজেই পিছলে যায়। এমনিতেও উঁচু পাদুকা পরার কারণে ভারসাম্য রক্ষা করা কিছুটা কষ্টকর হয়। এর মধ্যে পিছলে গেলে হাঁটার ভঙ্গিই শুধু অদ্ভুত দেখায় না, পড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। তাই পাদুকার নিচে খাঁজ কাটা রবারের তলা থাকা জরুরি। এতে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণই আসল: উঁচু পাদুকা পরলে শরীরের ভারসাম্য স্বাভাবিকভাবেই সামনের দিকে চলে আসে। এই বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শরীরের সমস্ত ভার যেন পাদুকার সব অংশে সমানভাবে ছড়িয়ে যায় এই চেষ্টাটাই করতে হবে। এটা মাথায় রেখে এগিয়ে গেলে ভারসাম্য ঠিকঠাক ভাবে রক্ষা করা যাবে।
ছবি: রয়টার্স।