গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, সাম্প্রতিক সময়ে খাবারের প্যাকেটের গায়ে ‘স্বাস্থ্যকর’ লেখা থাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রকৃতপক্ষে মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
অস্টিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের রাজ রাঘুনাথ ও তার সহকর্মীরা স্বাস্থ্যকর খাবারে পেট কম ভরা নিয়ে কয়েকটি পদ্ধতিতে গবেষণা করেন।
প্রথম গবেষণাটি করা হয় ৫০ জন শিক্ষার্থীর উপর। এই গবেষণায় ‘ইমপ্লিসিট অ্যাসোসিয়েশন টেস্ট’ নামক প্রতিষ্ঠিত পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাবার আর পেট ভর্তির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়।
দ্বিতীয় গবেষণাটি করা হয় মাঠ পর্যায়ে, ৪০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে। স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর হিসেবে তুলে ধরা মিস্টি বিস্কুট বা ‘কুকি’ খাওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের ক্ষুধার পরিমাণ পরিমাপ করা। এ থেকে ক্ষুধার পরিমাণের উপর খাবারকে স্বাস্থ্যকর মনে করার প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়।
তৃতীয় গবেষণাটি হয় ৭২জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে। বাস্তব জীবনে সিনেমা দেখার আগে খাবার অর্ডার করার পরিমাণ এবং সিনেমা দেখার সময় গ্রহণ করা খাবারের পরিমাণের উপর কোনো খাবারকে স্বাস্থ্যকর নামকরণ করার প্রভাব পর্যোবেক্ষণ করা হয় এই গবেষণায়।
তিনটি গবেষণায় তথ্য একত্র করে গবেষকরা সিদ্ধান্তে আসেন যে, মানুষের ধারণা স্বাস্থ্যকর খাবারে অস্বাস্থ্যকর খাবারের তুলনায় পেট ভরে কম।
গবেষকরা দেখান, খাবারের প্যাকেটের পুষ্টি তালিকা ব্যবহার করে কোনো খাবারকে ভোক্তার কাছ স্বাস্থ্যকর হিসেবে তুলে ধরলে তা ভোক্তার বিবেচনাকে প্রভাবিত করে।
এমনকি যারা স্বাস্থ্যকর খাবারে পেট কম ভরে এই ধারণা পোষণ করেন না তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা লক্ষণীয়।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজিউমার রিসার্চ নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।