খাবারের লোভ সামলাতে

মানসিকভাবে যতই শক্তিশালী হন না কেনো, প্রতিদিনের পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে গিয়ে পা পিছলে লোভনীয় খাবারের প্রতি কমবেশি সবাই ঝুঁকে পড়েন। কালেভদ্রে হলে ঠিক আছে, তবে প্রায়ই এরকম হলে পথচলা শিখতে হবে নতুন করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 09:26 AM
Updated : 4 Dec 2017, 08:14 AM

মুখরোচক তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ সামলানোর কিছু উপায় জানিয়েছে স্বাস্থবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।   

চোখের আড়াল আড়াল তো মনের আড়াল। যে কোনো প্রিয় বস্তু চোখের সামনে থাকলে লোভ সামলানো কঠিন। যারা চিনি ও লবণ খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ইচ্ছুক, তাদের উচিত এগুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখা। খাবার টেবিলে না রেখে, রান্নাঘরে রাখতে পারেন।   

প্রিয় খাবারগুলো যত বেশি এড়িয়ে চলবেন, ততটাই খাওয়ার ইচ্ছা বাড়বে। নিজের উপর বেশি নিষ্ঠুর না হয়ে মাঝে মাঝে খাবারগুলো খেতে পারেন। তবে অবশ্যই পেট ভরে নয়, অল্প পরিমাণে।

- খাবার টেবিলে রাখা সুস্বাদু চকলেট কেক বা অন্যান্য লোভনীয় খাবার যখন হাতছানি দিয়ে ডাকবে, তখন এক গ্লাস পানি খেয়ে সাময়িকভাবে উদরপূর্তি করতে পারেন। পানি বদলে একমুঠ বাদামও খেতে পারেন।

- মনকে বিভ্রান্ত করা একটি হাতিয়ার; যা অনেকের ক্ষেত্রেই কার্যকর। তাই মনে যখন অস্বাস্থ্যকর মুখরোচক খাবারের চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকবে, চেষ্টা করতে হবে অন্যকিছু নিয়ে মনকে ব্যস্ত রাখা। হতে পারে বাইরে হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা, বইপড়া কিংবা বন্ধুর সঙ্গে ফোনে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। তবে নিজেকে অভুক্ত রাখা আবার ঠিক হবে না, কম ক্যালরিযুক্ত খাবার কিংবা সালাদ খেতে পারেন।

- খাবারের লোভের সঙ্গে আবেগের রয়েছে গভীয় সম্পর্ক। রাগ, দুশ্চিন্তা, সুখ, দুঃখ, কোন মানসিক অবস্থায় খাওয়ার ইচ্ছা জাগে তা চিহ্নিত করতে পারলে বাড়তি খাওয়া কমানো সহজ হবে। যেমন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় শরীরে ‘কর্টিসল’ নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা খাবারের লোভ বাড়ায়। এধরনের আসক্তি চেপে বসলে অপেক্ষা করুন, সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই এই আসক্তি দূর হয়ে যায়।

ঘুমের ঘাটতি খাবারের আসক্তির কারণ হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর পরামর্শ দেন।

ছবি: রয়টার্স।