বসন্ত আয়োজন

চারদিকে শোনা যাচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। আর এই বসন্তকে বরণ করার জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়ে নানা আয়োজন।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 10:13 AM
Updated : 9 Feb 2016, 10:13 AM

দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলোর পাশাপাশি ছোট বড় সব ধরনের শপিং মলে দেখা যাচ্ছে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসের রকমারি পোশাকের পসরা।

রাজধানীর গাউসিয়া ও নিউ মার্কেটে বসন্ত উপলক্ষ্যে নানা রকমের শাড়ি যেমন সুতি, তাঁত, কোটা ইত্যাদির মধ্যে রং ও নকশার পরিবর্তন দেখা গেছে। এবার বসন্তের রংয়ের মধ্যে হলুদ, সবুজ, হালকা সবুজ ও কমলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বসন্তের সুতি ও কোটা শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। এমব্রয়ডারি করা সুতি শাড়ি পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে। নিউমার্কেটে ব্লক ও বাটিকের কাজ করা সুতি শাড়ি পাওয়া যাবে ৮শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকায়।

মিক্সড কাপড়ের কাজ করা শাড়ির দাম ১ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে শুরু। সিনথেটিকের শাড়ি ও জর্জেটের শাড়ির দাম ৮শ’ টাকা থেকে শুরু।

এছাড়াও মেয়েদের কুর্তা, টপস নকশা করা হয়েছে বসন্তকে মাথায় রেখে। এইসব টপস ও কুর্তা পাওয়া যাবে ৬শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়।

ঢাকা কলেজের বিপরীত ছেলেদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। পাঞ্জাবিতে লাল, খয়েরি, মেরুন, হলুদ রংয়ের প্রাধান্য লক্ষ করা গেছে।

বসুন্ধরার দেশীদশের ফ্যাশন ঘরগুলোতে বেশ জোরসরেই শুরু হয়েছে বসন্ত আয়োজন। কে-ক্রাফট, বিবিয়ানা, দেশাল, নিপুণ, অঞ্জন্সসহ সবকয়টি ফ্যাশন ঘরেই রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, কুর্তা, পাঞ্জাবি ইত্যাদি।

কে-ক্রাফট’য়ে সালোয়ার কামিজের দাম ১ হাজার ২শ’ টাকা থেকে শুরু। টাইডাই ও কাজ করা ফতুয়া এবং কুর্তির দাম ৯শ’ টাকা থেকে শুরু। এখানে তাঁতের সুতি শাড়ি পাওয়া যাবে ৯শ’ টাকায় এবং মিশেলি কাপড়ের কাজ করা শাড়ির দাম ২ হাজার ৮শ’ টাকা। ছেলেদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ৯শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়।

বিবিয়ানায় হাতের কাজ করা সালোয়ার কামিজের দাম ২ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে শুরু। সুতি শাড়ির দাম ১ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে শুরু। এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে হাজার ১ হাজার ২শ’ টাকায়।

দেশাল’য়ে স্ক্রিন প্রিন্টের শাড়ির দাম হাজার ১ হাজার ৫শ’। এইখানে হাতের কাজ, ব্লক,বাটিক ও টাইডাই করা ফতুয়ার দাম ৯শ’ টাকা থেকে শুরু। ছেলেদের পাঞ্জাবির দাম ৮শ’ টাকা থেকে শুরু।

দেশীদশের দোকান ঘুরে বসন্তের আয়োজনের দামের খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি।

আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশনঘরগুলো ঘুরে দেখা যায় বসন্ত বরণে হলুদ ও কমলা রংয়ের প্রাধান্য বেশি। এখানে ফতুয়া, কুর্তা, সালোয়ার কামিজ, স্কার্ট-টপস পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া ছাড়াও টি-শার্টের মধ্যেও বসন্তের আয়োজনের ছোঁয়াও লক্ষ করা গেছে।

বিসর্গ, বাঙ্গালীয়ানা, কাপড়-ই বাংলা, মেঠোপথ, হাতছানি, অন্যরকম ইত্যাদি ফ্যাশনঘর গুলোতে কম খরচে মনের মতো বসন্তের পোশাক কেনা যেতে পারে।

বিসর্গ’তে হ্যান্ড পেইন্টের সুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে আর মিশেলি কাপড়ের মধ্যে হ্যান্ড পেইন্টের শাড়ির দাম ২ হাজার ৩শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। টপসের দাম ৮শ’ থেকে শুরু।

অন্যরকমম’য়ে হ্যান্ড পেইন্টের কামিজ পাওয়া যাচ্ছে হাজার ১ হাজার ২শ’ টাকায়। টপসের দাম ৮শ’ থেকে সাড়ে ৯শ’ টাকা। অ্যাপ্লিকের মিশেলি কাপড়ের শাড়ির দাম ৩ হাজার ২শ’ টাকা।

আজিজ মার্কেটের ফ্যাশন ঘরগুলোতে ছেলেদের পাঞ্জাবির মধ্যে হলুদ, লাল ও কমলা রংয়ের সংগ্রহ বেশি। টাইডাই, নানা রকমের প্রিন্ট ও ব্লকের করা পাঞ্জাবির বেশ চল দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্রেতাদের প্রিন্টের ও টাইডাই করা পাঞ্জাবির প্রতি ঝোঁক বেশি বলে জানান অধিকাংশ দোকানের বিক্রেতা।

তবে একরঙা পাঞ্জাবির চাহিদা যে কম তা নয়।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে পোশাকে লাল রংয়ের প্রাধান্য বেশি। এছাড়া পোশাকের নকশায় খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি।

ছবি সৌজন্যে কে ক্রাফট।