‘জাঙ্ক ফুড’ এড়ানো যায় না

শিশুকে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালেই হবে না, পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানোর অভ্যাসও গড়তে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2016, 10:46 AM
Updated : 21 Jan 2016, 10:49 AM

শিশুরা আপেল, কমলা, গাজর খুশি হয়ে খেলেই যে চকলেট, ভাজাপোড়া খাবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই নতুন গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি।  

গবেষকরা দেখেছেন, যেসব শিশুরা নিয়মিত ফল, শাকসবজি ও দুধ খায় তাদের অতিরিক্ত চিনি কিংবা লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কালেভদ্রে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণকারী শিশুদের তুলনায় কম নয়।

গবেষণার সহ-লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির ফিলিস পিয়রি বলেন, “প্রচলিত ধারণা হল আপনি যদি কাউকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেন, তার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস দূর হয়ে যায় এমনিতেই। শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া রোধ করার পদক্ষেপগুলো খাদ্যাভ্যাস থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়।”

গবেষণায় প্রশিক্ষিত সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীরা দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সি ৩৫৭ জন শিশুর মা-বাবা কিংবা অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা করেন।

জানতে চাওয়া হয়, নির্দিষ্ট কিছু খাবার গত এক সপ্তাহে তাদের শিশুরা কতবার খেয়েছে। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয় এবং খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিশুদের প্রায় অর্ধেকই দিনে দুই বা ততোধিক ফল খেয়েছে। অল্প কয়েকজন খুব কমই সবজি খেলেও এক তৃতীয়াংশের বেশি শিশু দিনের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করেছে।

বয়স যাই হোক না কেনো, শিশুকে নিয়মিত ফল, সবজি, দুধ খাওয়ালেই যে অস্বাস্থ্যকর মুখরোচক খাবারের প্রতি আগ্রহ কমবে এমন কোনো সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি।

মাটার্নল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

ছবি: রয়টার্স।