গ্রাম-বাংলার চারপাশ এখন সরিষা ক্ষেতে ঢাকা। যেদিকেই চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ।
যে কোনো দিন কিছুটা সময় করে তাই ঘুরে আসতে পারেন কাছে-দূরের কোনো এক সরিষা ক্ষেত থেকে।
ঢাকার খুব কাছে সরিষা ফুলের সুন্দর রাজ্য মানিকনগর। ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে সিঙ্গাইরের রাস্তা ধরে কিছুদূর গেলে ধলেশ্বরী ব্রিজ। সেটা পেরিয়ে বিন্নাডিঙ্গি বাজার থেকে বাঁয়ের সড়কে কয়েক কিলোমিটার চললেই মানিকনগর।
ঢাকার কাছে সরিষা ফুলের আরেক জগতের নাম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, সিরাজদিখান আর টঙ্গিবাড়ী। এখানকার আড়িয়াল বিল কিংবা সোনারঙ এলাকায়ও আছে প্রচুর সরিষা ক্ষেত। ঢাকা থেকে খুব সকালে গিয়ে সারাদিন বেড়িয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা সম্ভব।
ঢাকা থেকে একটু দূরে যারা সরিষার রাজ্যে যেতে যান তাদের জন্য সুন্দর জায়গা চলনবিল কিংবা যশোরের অভয়নগর।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলের জমিগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে চাষ হয়েছে সরিষার। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পেরিয়ে হাটিকুমড়ুল-বনপাড়া সড়কে কিছুক্ষণ চললেই পাওয়া যাবে চলনবিলের বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত।
চলনবিলের সালঙ্গা, তাড়াশ, হরিণচড়া, দবিলা, কাছকাটা, প্রভৃতি জায়গায় সরিষা ক্ষেতের প্রাধান্য বেশি।
অভয়নগর ও আশপাশের শিমুলিয়া, জয়দিয়া, রুন্দিয়া, মধুরগতি প্রভৃতি এলাকায় গেলে পাওয়া যাবে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী যে কোনো বাসে চড়ে অভয়নগরে নামা যায়। তবে অভয়নগরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা নেই। সারাদিন বেড়িয়ে রাতে এসে থাকতে হবে যশোর কিংবা খুলনা শহরে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
কাছে কিংবা দূরে, যে দিকেই বেড়াতে যান না কেনো সরিষার রাজ্যে ভ্রমণে যেতে নিজস্ব কিংবা ভাড়া করা কোনো গাড়ি নেওয়া উচিৎ। খরচ কমাতে কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন। তাহলে ইচ্ছেমতো ভালোলাগা যে কোনো জায়গাতেই থেমে যেতে পারবেন।
সরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় খুব সকাল কিংবা বিকাল।