একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, টিনএইজারদের দৈনিক তিন ঘণ্টার বেশি টিভি দেখা এবং কম দৈহিক পরিশ্রম করা মধ্যবয়সে বোধশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
টেলিভিশনসহ অন্যান্য ডিজিটাল পর্দার ডিভাইসে ক্রমবর্ধমান আসক্তি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র গবেষকরা দীর্ঘ ২৫ বছর গবেষণা করে টেলিভিশন দেখা ও শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে মাঝবয়সে চিন্তাভাবনার সক্ষমতার সম্পর্ক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তারা জানান, “দুইটি ভিন্ন বর্ণের মানুষের উপর চালানো ২৫ বছরব্যাপী এই গবেষণায় আমরা দেখতে পেয়েছি, অল্প বয়স থেকে পরিণত বয়সে পৌঁছানোর সময়ের মধ্যে কম শারীরিক পরিশ্রম ও অধিক টেলিভিশন দেখার সঙ্গে মাঝবয়সে চিন্তা ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া সম্পর্কিত।”
৩,২৪৭ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপর করা এই পর্যালোচনা করা হয়, যাদের বয়স ১৮ থেক ৩০ এর মধ্যে। টানা ২৫ বছরের পরিক্রমায় পৌনঃপুনিক সাক্ষাত ও প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তাদের টিভি দেখা ও শারীরিক পরিশ্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণার ২৫তম বছরে এসে তাদের চিন্তন দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। এক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়, যথা- প্রক্রিয়াজাতকরণের গতি, কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতা এবং শব্দগত স্মৃতিশক্তি।
এই ২৫ বছরে মধ্যে বেশি টেলিভিশন দেখা অংশগ্রহণকারীদের চিন্তা করার দক্ষতার ঘাটতি দেখা গেছে। এদের মধ্যে ৫২৮ জন অংশগ্রহণকারীর শোচনীয় ফলাফলের সঙ্গে কম শারীরিক পরিশ্রমের সম্পর্ক শনাক্ত করা হয়েছে।
৩,২৪৭ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১০৭ জন, যারা কম পরিশ্রম করেছেন ও অধিক টেলিভিশন দেখেছেন তাদের চিন্তন ক্ষমতার ঘাটতি অন্যদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
গবেষকরা আরও বলেন, “এসব ফলাফল বিশেষত প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কার্যনির্বাহের ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল, শব্দগত স্মৃতিশতির ততটার সঙ্গে নয়। কম দৈহিক পরিশ্রম ও বেশি আলসেমি প্রবণতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দল হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।”
অনলাইনে ‘জামা সাইকায়াট্রি’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ছবি: রয়টার্স।