বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়ান

ঘাম ঝরানো ব্যায়াম ছাড়াও মেদ কমাতে সাহায্য করবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস।

তানভীর মাহমুদ নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2015, 11:15 AM
Updated : 2 Dec 2015, 11:18 AM

কিছু খাবার শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। আবার কিছু কিছু খাবারের পুষ্টিগুণ বিপাকীয় প্রক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে। মেদ ঝরানোর জন্যেএ দুটি বিষয়ই সমান জরুরি।

একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটে মেদ ঝরানোয় সহায়ক ছয়টি খাবারের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অপরিশোধিত শস্যজাত খাবার: বাদামি চাল, লাল আটার রুটি, ওটমিল ইত্যাদি অপরিশোধিত দানাদার শস্যজাতীয় খাবার। এ শস্যজাত খাবারগুলো হজমে সাধারণ প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালরি খরচ হয়।

চর্বিহীন মাংস: আমিষ সাধারণত উচ্চ তাপ উৎপাদন করে। আমিষের হজম প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ক্যালোরি খরচ হয়। অর্থাত ৩০০ ক্যালোরি সমৃদ্ধ এক টুকরা মুরগির মাংস হজম করতে প্রায় ৯০ ক্যালোরি খরচ হবে।

কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারে (যেমন-  পনির) প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে যা পেশীর ঘনত্ব ধরে রাখে এবং পেশীর গঠনে সহায়তা করে। তাই বিপাক প্রক্রিয়া সচল রাখতে এবং শারীরিক গঠনের জন্য দুগ্ধজাতীয় খাবার অত্যন্ত জরুরি। তবে তা হতে হবে ‘লো ফ্যাট’।

গ্রিন টি: আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের একটি প্রতিবেদনে অনুযায়ী, দিনে চার কাপ গ্রিন টি পান করে আট সপ্তাহে ছয় পাউন্ড পর্যন্ত মেদ ঝরানো সম্ভব। সবুজ চায়ে থাকে ইসিজিজি (ECGG) নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা চা পানের পর কিছুক্ষণের জন্য বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

মসুরের ডাল: এক কাপ মসুর ডাল প্রতিদিনের আয়রন চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করে। ‘দ্য সিক্রেট টু স্কিনি’ বইয়ের সহলেখিকা টামি ল্যাকাটোস শেইমস বলেন, “শরীরে কোনো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব হলেই বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে। কারণ, শরীর তার স্বাভাবিক কাজ করার জন্য যা দরকার তা পায় না।”

মরিচ: মরিচের মধ্যে থাকে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ঝাল লাগার কারণ। মরিচের ঝাল দেহ উত্তপ্ত করে অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।

ছবি: দিপ্ত।