শেইভিংয়ের টুকিটাকি

দাড়ি কামানোর ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিষয় খেয়াল রাখলে মসৃণ লাগবে মুখ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 10:51 AM
Updated : 1 Dec 2015, 10:51 AM

শেইভিংয়ের পর ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তিভাব অনুভূত হতে পারে অনেকেরই। তাই লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে শেইভিংয়ের আগে পুরুষদের জন্য লক্ষণীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়। 

ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া: দাড়ি কামানোর আগে অবশ্ই ত্বক স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ফেইস ওয়াশ বা ক্লিনজারের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ গরম পানি ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল করে তোলে। 

ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় অপেক্ষা করুন: অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পরই শেইভ করেন। তবে এ সময় ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা ফুলে থাকে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে কিছুটা সময় দিন, এরপরই দাড়ি কাটুন। এতে কেটে যাওয়ার ভয় কম থাকবে।

বিরতি নিন: প্রতিদিন দাড়ি কামানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ শেইভিংয়ের ফলে ত্বকের উপর চাপ পড়ে যা মাঝে মধ্যে এড়িয়ে গেলে ত্বকের জন্যই ভালো। আর একদিন বিরতিতে শেইভ করা হলে তা আরও নিখুঁত হয়।

হাত ঘুরিয়ে লাগান শেইভিং ফোম: হাত বা ব্রাশের সাহায্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শেইভিং ফোম বা জেল লাগান। দাঁড়ি একই ধাঁচে গজায় না। এক দিকে টেনে ফোম লাগানো হলে সমানভাবে ফোম ছড়ায় না। তাই ঘুরিয়ে গোলভাবে পুরো মুখে ফোম লাগালে সবগুলো দাড়ির গোড়ায় ফোম পৌঁছাবে।

অতিরিক্ত চাপ এরিয়ে চলুন: অনেকেরই ধারণা জোরে চেপে রেজার ব্যবহার করা হলে নিখুঁত শেইভ হয়। আধুনিক রেজার হালকা চাপেও ভালো শেইভ করতে সাহায্য করে। বরং প্রয়োজনের বেশি চাপ প্রয়োগে কেটে যাওয়া এবং ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর তাই যতটুকু দরকার এর বেশি চাপ প্রয়োগ এড়িয়ে চলতে হবে।

গরম ভাপ: কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসলের পর শেইভ করা হলে মসৃণ ত্বক পাওয়া সহজ। কারণ গরম পানির ভাপ দাঁড়ির গোড়া নরম করে। ফলে দাড়ি কামানো ভালো হয়।

দাড়ির গঠন অনুসারে শেইভ করা: দাড়ি ঠিক যে দিকে জন্মেছে ওই একই ধারায় শেইভ করুন। অনেকে উল্টো দিকে ব্লেড চালান। এতে ত্বক জ্বালাপোড়া করতে পারে।

শেইভিং তেলের ব্যবহার: অনেক সময় শেইভিং ফোম বা জেলের রাসায়নিক উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করে এবং পিএইচ’য়ের ভারসাম্য নষ্ট করে। এতে ত্বক রুক্ষ ও সংবেদনশীল হয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে শেইভিং তেল বেছে নেওয়া যেতে পারে।

অ্যালোভেরার ব্যবহার:
নিয়মিত শেইভ করার ফলে বেশিরভাগ পুরুষের ত্বক রুক্ষ ও সংবেদনশীল হয়ে যায়। তাদের জন্য ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার বেশ উপকারী।

আফটার শেইভ এড়িয়ে চলুন: আফটার শেইভ লোশনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল থাকে যা ত্বক সংবেদনশীল করে ফেলতে পারে। তাছাড়া দাড়ি কাটার পর ত্বক সাধারণের তুলনায় পাতলা হয়ে যায়। তাই এ সময় ত্বকে আফটার শেইভ ব্যবহার ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করলে ত্বক কোমল থাকবে।

ধীরে এবং ছোট ছোট টানে শেইভ করুণ: যদি ইলেকট্রিক শেইভার ব্যবহার করা হয় তবে ১০০ এমপিএইচ বা এর বেশি মাত্রা ব্যবহারের ফলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা এক টানে অনেকটা জায়গা শেইভ করেন তাদের ক্ষেত্রে। তাই যে কোনো শেইভিং রেজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছোট ছোট টানে শেইভ করা উচিত।

পরিষ্কার ব্লেইড ব্যবহার করুণ: রেজারের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে রেজারের ব্লেডটি যেন যথেষ্ট ধারালো এবং পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া কোনো ভাবেই জং পড়া ব্লেড ব্যবহার করা উচিত নয়। যখনই মনে হবে ব্লেডের ধার কমে এসেছে দ্রুত রেজার বদলে ফেলতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।