চকলেট অপছন্দ করেন এমন মানুষ পাওয়া বেশ দুষ্কর। তবে এই দারুণ স্বাদের খাবার নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানারকম ভ্রান্ত ধারণা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের ভারতের চকোলেটিয়ারস জেবা কোহলি এ বিষয়ে বলেন, “কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করেই চকলেট ভালোবাসতে হবে এবং খেতে হবে।”
প্রতিবেদনে জেবা কোহলি চকলেট নিয়ে প্রচলিত কিছু ধারণা কতটা গুজব এবং কতটুকু সত্যি এ বিষয়গুলো তুলো ধরনে।
চকলেট খাওয়ার আদর্শ সময়: যে কোনো সময়ই চকলেট খাওয়ার আদর্শ সময়- বেশ পরিচিত একটি লাইন। আবার রাতে খাবারের পর চকলেট খাওয়া উচিত নয়, এমন ধারণাও নতুন নয়। তবে এটি পুরোপুরি সত্যিও নয়, এমন মতামত দেন জেবা কোহলি।
চকলেট ওজন বাড়ায়: পরিমিত পরিমাণে চকলেট খেলে তা স্বাস্থ্যে বা ওজনে তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। যে কোনো খাবার অতিরিক্ত খাওয়া হলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাই কম চর্বিযুক্ত চকলেট পরিমাণ মতো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ব্যায়ামের আগে ও পরে চকলেট: শরীরে শক্তি সরবরাহের জন্য বেশ কার্যকর একটি খাবার চকলেট। মিল্ক চকলেটের তুলনায় ডার্ক চকলেটের উপকারীতা বরাবরই বেশি। তাই ব্যায়ামের আগে ও পরে চকলেট খেলে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হবে দ্রুত। তবে এক্ষেত্রেও কী পরিমাণে চকলেট খাওয়া হবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ব্রণ ও দাঁতের ক্ষয়ের জন্য কি চকলেট দায়ী!: শিশুদের চকলেট খাওয়ায় লাগাম টানতে মায়েরা দাঁতে পোকা হওয়ার ভয় দেখাতেন। দাঁতে পোকা অর্থাৎ দাঁত ক্ষয়। আর এটি বেশ প্রচলিত একটি ধারণাও বটে। তবে এ ধারণার তেমন যুক্তি সঙ্গত ভীত্তি নেই।
দাঁত ক্ষয়ের পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার ভয়েও অনেকে চকলেট এড়িয়ে চলেন। তবে জেবা জানান, অ্যালার্জি পরীক্ষা না করে ব্রণ বা এ ধরনের সমস্যার জন্য চকলেটকে দোষী করা যাবে না।
মানসিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে চকলেট: মন খারাপ হলে চকলেট খেলে মন ভালো হয়, এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ধারণা। গ্রিন টি’র মতোই উপকারী চকলেট। মন ভালো করতে চকলেটের কিছু উপাদান বেশ ভালো। তবে এক্ষেত্রেও ডার্ক চকলেট বেশি কার্যকর।
হোয়াইট চকলেট কি আসলেও চকলেট!: সাদা রংয়ের চকলেটই হোয়াইট চকলেট নামে পরিচিত। তবে সাধারণ চকলেটে কোকেয়ার পরিমাণ বেশি থাকায় রং বাদামি হয়ে থাকে। আর হোয়াইট চকলেটে থাকে কোকয়া বাটার, দুধ এবং চিনি।