শর্করা নিয়ন্ত্রণের খাবার

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, রসুন, দারুচিনি বা লেবুজাতীয় ফল রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2015, 11:24 AM
Updated : 22 Jan 2016, 11:56 AM

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার আগে পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের মিশ্রণ খাওয়া ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। পাশাপাশি ডায়বেটিস নেই বা টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমায় এই মিশ্রণ।

অপরিদিকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ কমাতে সহায়ক গ্রিন টি।  

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ডায়বেটিস এবং এই সংক্রান্ত জটিলতাগুলো থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতের ‘বাইটক্লাব ডটইন’য়ের খাদ্য বিশেষজ্ঞ সৌম্য শ্রী।

দারুচিনি।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অনেকদিন ধরেই জায়গা দখল করে আছে। এতে থাকা অ্যাসেটিক অ্যাসিড পাকস্থলীর নির্দিষ্ট কিছু এনজাইম ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে।

দারুচিনি: টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কার্যকর। পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজ, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরের জন্য ভালো ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক এটি।  

গ্রিন টি।

লেবুজাতীয় ফল:
ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে প্রায়শই ভিটামিন সি’র অভাব দেখা যায়। তাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর লেবুজাতীয় ফলগুলো খেতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে। সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্প হিসেবে ভিটামিন সি ট্যাবলেট লোভনীয় মনে হতে পারে। তবে যেহেতু প্রাকৃতিকভাবেই ফলমূলে থাকে কম চর্বি, বেশি আঁশ এবং আরও অনেক পুষ্টিগুণ, তাই এক্ষেত্রে ফলই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিৎ।

বাদাম।

গ্রিন টি:
পান করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ প্রশমিত হয়। শরীরের শর্করা শোষণ করার ক্ষমতাও বাড়ায় এই পানীয়। এই চায়ে থাকে প্র্রচুরি পরিমাণে ফ্লেভানয়েড যা শক্তিশালী প্রদাহরোধকারী।

মেথি: টাইপ ওয়ান ও টু দুই ধরনের ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী, এমনকি ডায়বেটিস নেই এমন ব্যক্তিদেরও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক আরেকটি উপাদান এই মেথি। মেথি বীজে থাকা আঁশ কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়া মন্থর করতে সহায়ক। ট্যাবলেট হিসেবে, চা ও বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে মেথি খাওয়া যেতে পারে।

রসুন।

বাদাম:
বাদামে মিলবে প্রচুর টোকোট্রাইনোলস। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়বেটিসের কারণে হওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।

রসুন: কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক। ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে থাকা ইনসুলিনের পরিমাণও বাড়াতে পারে রসুনের নির্যাস।

ছবি: দিপ্ত।