আর এই নতুন তথ্য মিলেছে ব্রিটিশদের করা এক গবেষণায়।
দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আন্ড্রেয়াস ভোসলার ও নাওমি মোলার এই গবেষণায় জন্য নিজেই কিংবা তার সঙ্গী ইন্টারনেটে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগীদের নিয়োগ করেন।
অংশকারীদের একজন বলেন, “আমি এসব বন্ধ করার চেষ্টা করেছি, তবে পারিনি। বন্ধ করার কিছু দিনের মধ্যেই তা পুনরায় শুরু হয়। আর দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রযুক্তিপণ্যের কারণে এসব অত্যন্ত সহজ, আশ্চর্যজনকভাবে স্বস্তিদায়ক এবং আকর্ষণীয়।”
এই অংশগ্রহণকারী আরও বলেন, “দীর্ঘ কর্ম সময়ের মাঝে এই ইন্টারনেট নির্ভর সম্পর্ক ‘ফাস্ট ফুড’য়ের মতো, সহজলভ্য, দুষ্টুমিতে পূর্ণ, সস্তা এবং বেশিরাগ সময়ই সামাজিকতার বিড়ম্বনা ছাড়া একাকী খাওয়া হয়।”
ইন্টারনেট প্রতারণা শিকার এক নারী বলেন, “ইন্টারনেটের প্রতি আমার গভীর আস্থাহীনতা রযেছে এবং মনে হয় এটি প্রতারণাকে উৎসাহ দিচ্ছে। আমার প্রাক্তন স্বামী অত্যান্ত লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। কিন্তু অনলাইনে তিনি প্রচণ্ড আত্নবিশ্বাসী আচরণ করতেন এবং সহজেই অন্য নারীদের আকৃষ্ট করতে পারতেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ইন্টারনেট ছাড়া তিনি এতগুলো প্রেমের সম্পর্ক করতে পারতেন না।”
২০ থেকে ৭৩ বছর বয়সিদের নিয়ে করা অজ্ঞাতনামা জরিপভিত্তিক এই গবেষণা প্রমাণ করে যে বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীই মনে করেন, ইন্টারনেট প্রতারণার সম্ভাবনা বাড়ায়।
গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত করে, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ সহজ করেছে ইন্টারনেট এবং এতে নেই কোনো বিধি-নিষেধ। ফলে বাস্তব জীবনে যে ধরনের আচরণ এড়িয়ে চলতে হয় সেসব আচরণকে সহজ করে তুলছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ইন্টারনেটে প্রতারিত হওয়া বাস্তব জীবনে ব্যাভিচারের শিকার হওয়ার মতোই বেদনাদায়ক হয়। অনেক অংশগ্রহণকারীই তাদের অনুভূত মানসিক চাপের বিস্তারিত জানিয়েছেন এবং ইন্টারনেট প্রতারণাকে সম্পর্ক নষ্টকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ভোসসলার বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, ইন্টারনেট প্রতারণা পুরুষ এবং নারীর চোখে ভিন্ন। তবে এটি শুধু লিঙ্গভেদ নয়, ইন্টারনেট প্রতারণার অভিজ্ঞতা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম।”
আরও প্রতিবেদন: