কারণ গবেষণা বলছে, এই নজরদারির কারণে মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
গবেষকদের মতে, প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার কারণে যারা অতিরিক্ত মানসিক কষ্টে ভোগেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পুরানো সঙ্গীকে অনুসরণ করার প্রবণতা তাদেরই বেশি থাকে। ফলে মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়াটা তাদের জন্য জটিল হয়ে পড়ে।
প্রাক্তন সঙ্গীর বর্তমান অবস্থা এবং গতিবিধির উপর নজরদারিকে সহজ করে তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। সোশাল মিডিয়ার এই অমঙ্গলজনক ব্যবহার ‘ইন্টারপার্সোনাল ইলেক্ট্রনিক সার্ভেইলেন্স (আইইএস) বা প্রচলিতভাবে ‘ফেইসবুক স্টকিং’ নামে পরিচিত।
ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি-কলোম্বাসের জেসি ফক্স এবং মানোয়া, হনোলুলুর ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের রবার্ট এস.তকুনাগা বলেন, “মনস্তাত্ত্বিক এবং সম্পর্কবিষয়ক কারণগুলো এবং প্রেমের সম্পর্কের সমাপ্তির সঙ্গে একজন কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে, এগুলো তাদের অনলাইন নজরদারির ব্যবহার সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী করতে সাহায্য করে।”
গবেষণায় সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা, সম্পর্কে সঙ্গীদের বিনিয়োগ, সম্পর্কের প্রতি কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দায়-ভার, সম্পর্ক ভাঙার পর আবেগ ঘটিত মানসিক কষ্ট এবং সম্পর্কের বিকল্প খোঁজা, এই বিষয়গুলোর মধ্যকার সম্পর্ক পর্যলোচনা করেন গবেষকরা।
স্যানডিয়াগো ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্টারঅ্যাক্টিভ মিডিয়া ইনিস্টিটিউটের ব্রেন্ডা কে. ওয়েইডারহোল্ড ব্যাখ্যা করে এভাবে, “যখন ইন্টারনেট ব্যবহার মানসিক চাপ বাড়ায়, তখন মনোবিজ্ঞানিরা চাইলে রোগীদের মানসিক চাপের সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা পরিমাপ করতে পারে, যেমন সম্পর্কের ভেঙে যাওয়ার সময়।”
সাইবারসাইকোলজি, বিহেইভিয়র অ্যান্ড সোশাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও প্রতিবেদন