কোরবানির প্রস্তুতি

রাজধানীতে যারা ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন তারা আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো পেয়ে যাবেন ঢাকার কারওয়ান বাজারে।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2015, 11:16 AM
Updated : 21 Sept 2015, 08:53 AM

সেখানে ঘুরে জানা গেল দামদর।

মাংস কাটার অনুষঙ্গ

মাংস টুকরা করার জন্য দরকার হয় নানান রকম ছুরি।

বাজারের পাইকারী ও খুচরা ছুরির দোকান রফিক এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “জবাই করার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে রেতের লোহার ছুরি। মান অনুযায়ী কেজি প্রতি এগুলোর দাম পড়বে ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা।”

সাধারণ লোহার ছুরিগুলোর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা। কোরবানির পশু চামড়া ছাড়ানোর জন্য আছে কামেলা ছুরি এবং ছিলা ছুরি। আকারে ছোট, হালকা ও তীক্ষ্ণ আগার এই ছুরিগুলোর দাম পড়বে প্রতিটি ৬০ থেকে দেড়শ টাকা। মাংস কাটার ছুরিগুলোর দাম ৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।

আরও আছে মাংস কাটার বটি, কোপদা।

রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোপ দা ও বটিও কেজি হিসেবে বিক্রি করি আমরা। আকার ও লোহার মান ভেদে কোপ দা’র দাম ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি। আর বটি আড়াই’শ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি।”

“ছুরি থেকে চর্বি ছাড়ানোর জন্য লোহার কাঠিগুলোর দাম ৫০ টাকা। আর ছুরি ধার দেওয়ার পাথরের দাম ৫০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা। দোকানে গিয়ে বলতে হবে লোহা ঘষার পাথর চাই।” বললেন রফিকুল।

মাংস রাখার অনুষঙ্গ

কাটা মাংস রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পাটি বা বড় আকারের পলিথিন। তেরপলও ব্যবহার করা যেতে পারে। পলিথিন আর তেরপল কিনতে হবে গজ দরে।

দরদাম সম্পর্কে জানালেন ভাই ভাই হার্ডওয়্যারের দোকানি মোহাম্মদ সোহাগ।

তিনি বলেন, “আকারভেদে পাটির দাম গজ প্রতি পড়বে ৫০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা। পলিথিনের দাম গজ প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা। আর তেরপলের দাম গজ প্রতি ৭০ থেকে ১৩০ টাকা।”

“মাংস মাপার দাড়িপাল্লা কিনতে গুনতে হবে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।” বললেন তিনি।

মাংস আনা নেওয়া করার জন্য বাঁশের ডালিগুলো মিলবে ৫০ থেকে ১৩০ টাকায়। মাংস বিলি করার জন্য পলিথিনের ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। প্রতি কেজির দাম ৩শ’ টাকা।

মাংস রান্নার অনুষঙ্গ

বছরের অন্যান্য সময়ে মাংস পরিমাণ মতো রান্না করা হয়। তবে কোরবানির ঈদে মাংস রান্নার যেন কোনো হিসেব থাকে না।

তাই রান্নার হাঁড়িটাও চাই একটু বড় আকারের। পাশাপাশি ঈদের পর থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ধুম পড়ে যায় ঘরে ঘরে। ফলে চুলোয় ওঠে বড় আকারের হাঁড়ি বা ডেগচি।

মেহেদি এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত বলেন, “বড় হাঁড়ি ও ডেগচি বিক্রি হয় ওজন হিসেবে। হাড়ির দাম কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৫শ’ টাকা। ডেগচি ৩৩০ থেকে ৫শ’ টাকা। প্রেশার কুকার মিলবে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায়। তবে ব্র্যান্ড হিসেবে এই দাম ভিন্ন হতে পারে।”

মাংস রাঁধতে মসলা তো লাগবেই। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে দারুচিনির দাম ছিল ৩২০ টাকা কেজি। এলাচ ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ টাকা কেজি। গোলমরিচ ১ হাজার ১শ’ টাকা কেজি। লবঙ্গ ১ হাজার ৩শ’ টাকা কেজি। জিরা সাড়ে তিনশ টাকা কেজি।

মসলা বাটার শিলপাটা আকার ভেদে ২শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। আর পুরানো পাটায় ধার কাটতে লাগবে ১শ’ টাকা।

ছবি: আব্দুল মান্নান।