ইউরোপীয় অঞ্চলের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে একটি সমিতি জানায় যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের মধ্যে অন্যদের তুলনায় হতাশায় ভোগার ঝুঁকি প্রায় ১৭ শতাংশ কম থাকে।
গবেষকরা লিঙ্গ ভেদে মাছ খাওয়ার কারণে হতাশা নিয়ন্ত্রণে থাকার পার্থক্য নিয়েও বিশ্লেষণ করেন। তারা দেখতে পান নারীদের তুলনায় পুরুষদের হতাশা মাছ খাওয়ার কারণে বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১৬ শতাংশ।
অনলাইনে জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেল্থ’য়ে প্রকাশিত এই পর্যালোচনায় গবেষণার একজন লেখক বলেন, “প্রাথমিকভাবে হতাশা ও মানসিক চাপ কমাতে মাছ বেশ কার্যকর প্রভাব ফেলে। তবে মাছ ভেদে এই কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে। তাই এই বিষয়ে বিষদ গবেষণা প্রয়োজন।”
গবেষকরা ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই সম্পর্কিত যত গবেষণা চালানো হয়েছে সেসব গবেষণার তথ্য ও ফলাফল সাম্প্রতিক এই গবেষণায়ও ব্যবহার করা হয়।
গবেষকরা এই ধরনের ১০১টি উপযোগী রচনা খুঁজে পায়। এর মধ্যে পর্যালোচনার জন্য ১৬টি উপযুক্ত ছিল। যার মধ্যে ২৬টি গবেষণা রয়েছে এবং এই গবেষণাগুলোর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ২৭৮ জন।
গবেষকরা পরামর্শ দেন, “মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল যা হতাশা ঠেকাতে সাহায্য করে। যা স্বাস্থ্যকর এবং বেশি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে প্রচুর পরিমাণে মাছ খাওয়াকে নির্দেশ করে।”
আরও খবর: