গবেষকরা দেখেছেন, যেসব কর্মীর বিভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে আসা বিভিন্ন ধরনের বন্ধুর সংখ্যা বেশি, তারা প্রকৃত অর্থেই অফিসের কাজে ভালো ফলাফল করেন।
সহকর্মীদের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবনে যেসব কর্মীদের বিভিন্ন বর্ণের বন্ধুমহল আছে, কর্মক্ষেত্রেও তাদের বিভিন্ন পরিবেশের মানুষের সঙ্গে পরিচয় থাকে।
ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট এবং হিউম্যান রিসোর্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্টেফানি উইল্ক বলেন, “কর্মক্ষেত্রে আপনি কেমন আচরণ করেন তার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, যা কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের রূপ গড়ে তোলে।”
এই বিশাল নেটওয়ার্ক সেসব কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যারা নিজেদের দায়ীত্বের বাইরেও বিভিন্ন কাজ করেছেন এবং যারা বিশেষ পরিবেশে, তাদের কর্মকর্তাদের উপর বেশি আস্থাশীল ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে যাদের বিভিন্ন ধরনের বন্ধু থাকে কর্মক্ষেত্রেও তারা একইভাবে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরি করেন।
একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে কর্মরত ২২২ জন কর্মীদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।
বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে এই কর্মীরা গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রের বাইরে যাদের বিচিত্র বন্ধুমহল রয়েছে, কর্মক্ষেত্রেও তাদের বন্ধুমহল হয় বিচিত্র।
গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কাজের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা যায়।
গবেষকরা আরও দেখতে পান, যেসব কর্মীর বিচিত্র বন্ধুমহল আছে, তাদের বিচিত্র বন্ধুমহল থাকা কর্মকর্তাদের উপর আস্থাশীল হওয়ার সম্ভাবন্ বেশি।
অর্গানাইজেশন সায়েন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন কর্মজীবনে প্রভাবের আরেকটি দিক তুলে ধরেছে।
ছবি রয়টার্স।