পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া ইত্যাদি কারণেও নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, নখ হল এক প্রকার শক্ত কোষের সমষ্টি। নখের গঠনে কাজ করে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন এবং ভিটামিন ‘বি’ অত্যন্ত জরুরি কিছু পুষ্টি উপাদান। তাই খাবারের তালিকায় এই খাদ্য উপাদানগুলো থাকা দরকার।
আর নখের যত্নে নিয়ম করে মেনিকিউর ও প্যাডিকিউর করাও জরুরি।
নখের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন অ্যারোমা থেরাপিস্ট শিবানি দে।
তিনি জানান, হাত কোমল রাখতে এবং নখ মজবুত করতে সপ্তাহে তিনদিন অলিভ অয়েল কুসুম গরম করে হাত এবং নখে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। তাছাড়া নখ কাটার জন্য ব্লেড বা কেচি ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও জানান শিবানি দে।
যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন তাদের নখও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুন্দর নখ চাইলে এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করার পরামর্শ দেন এই রূপবিশেষজ্ঞ।
তিনি আরও পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “সারাদিন শেষে কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ নখ ও হাত ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর হাত মুছে নখ এবং চারপাশে ভালো মানের কিউটিকল অয়েল মালিশ করে নিলে নখ ভালো থাকবে।”
ভঙ্গুর নখের সমাধানে শিবানি দে বলেন, “এরজন্য সঠিকভাবে ফাইল করা জরুরি। প্রতিবার একইভাবে এবং একই দিকে নখ ফাইল করতে হবে। এক্ষেত্রে ধাতব ফাইলার এড়িয়ে চলাই ভালো। তাছাড়া গোসল বা হাত ভেজানোর পর নখ ফাইল করা উচিত নয়। কারণ এ সময় নখ নরম থাকে।”
“রাতে ঘুমানোর আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি এবং অলিভ অয়েল মালিশ করে নিলে নখ শক্ত হয়। যাদের নখ বেশি নরম তারা রাতে ঘুমানোর আগে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। এতে নখ শক্ত হবে।” বলেন শিবানি।
অনেকে গোসলের পর নখ কাটতে পছন্দ করেন, কারণ এই সময় নখ নরম থাকে। তবে এতে নখে চির ধরতে পারে।
নেইলপলিশ দিয়ে নখ রাঙাতে পছন্দ করলেও কিছু দিনের বিরতিতে নেইলপলিশ লাগানো উচিত। এতে নখ শ্বাস নিতে পারে। তাই একবার নেইলপলিশ ওঠানোর অন্তত দুদিন পর আবার নেইলপলিশ লাগাতে হবে।
পেডিকিউর, ম্যানিকিউর নখ এবং হাতের যত্নের একটি পদ্ধতি মাত্র। পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করার সময় নাও হতে পারে। তবে এখন বাজারে বিভিন্ন সেট পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করে ঘরেই হাত ও নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
এই বিষয়ে শিবানি দে বলেন, “কুসুম গরম পানিতে খানিকটা শ্যাম্পু ও সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নখ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি নরম ব্রাশ দিয়ে নখ এবং চারপাশ ঘষে নিতে হবে। এতে মৃত কোষ ও জমে থাকা ময়লা উঠে আসবে।”
“নখ কখনও অতিরিক্ত বড় করা ঠিক নয়”, এমনটাই বলেন শিবানি দে। এতে নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া মাঝারি আকারের নখে নেইলপলিশ লাগাতেও সুবিধা হয়। নখের আকার-আকৃতি যাই হোক, খেয়াল রাখতে হবে তা যেন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
প্রচ্ছদ ছবি: রয়টার্স।