চেতনাহীন প্রভাব থেকে একজন মানুষ ধূমপানে উৎসাহি হয়। আর এটা কমাতে পারে একাগ্র ধ্যান। আর গবেষণা বলছে শরীরচর্চার মাধ্যমেই আত্ম-নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো যায়।
গবেষণার জন্য টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওরেগনের গবেষকরা ৬০জন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে একটি সুসংহত শারীরিক-মানসিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য নিয়োগ করেন। যার মধ্যে ছিল বিনোদন প্রশিক্ষণ কৌশল। এই ৬০ জনের মধ্যে ২৭জন ধূমপায়ী আর বাকি ৩৩জন অধূমপায়ী।
শিক্ষার্থীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। যাতে এক দল পায় একাগ্র ধ্যানের প্রশিক্ষণ আর অন্য দল পায় বিনোদন প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণের শুরুতে এবং দুই সপ্তাহ শেষে, আধা ঘণ্টার সেশনের পাঁচ ঘণ্টা পর শিক্ষর্থীদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়, নিজের সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর ভিত্তিক পত্র পূরণ করানো হয় এবং তাদের ধূমপানের পরিমাণ এবং অভ্যাস অনুযায়ী কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ বোঝানো হয়।
যদিও শিক্ষার্থীরা বলছে তারা প্রশিক্ষণের আগে ও পরে একই সংখ্যক সিগারেট পান করেছেন। তবে যারা একাগ্র ধ্যানের প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তাদের ফুসফুসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের শতকরা পরিমাণ অনুযায়ী, গবেষণার পর দুই সপ্তাহে তাদের ধূমপান কমেছে ৬০ শতাংশ।
গবেষণার প্রধান গবেষক, ট্রেক্সাস টেকের সাইকোলজিকাল সাইন্সের অধ্যাপক ই-ইউয়ান টাং বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের ধূমপানের অভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে, তবে নিজের অজান্তেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অংশগ্রহণকারীদের তথ্যগুলো দেখাই, যারা বলেছিলেন ২০টি সিগারেট পান করেছেন, তারা সঙ্গে সঙ্গে পকেটে সিগারেটের প্যাকেট পরীক্ষা করে চমকে যান। কারণ তখনও ১০টি সিগারেট অবশিষ্ট ছিল”
“আপনি যদি মস্তিষ্কের আত্ম-নিযন্ত্রণ নেটওয়ার্ক উন্নত করেন এবং মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন, তবে ধূমপান ত্যাগ করা সম্ভব।” বলেন গবেষকরা।
একাগ্র ধ্যান আত্ম-নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর একটি প্রধান কৌশল।
ট্রেন্ডস ইন কগনিটিভ সাইন্সেস’য়ে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।