বিশ্রাম ও শরীরচর্চার মাধ্যমে দুশ্চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো দুশ্চিন্তা দূর মোকাবেলায় সহায়ক।
দুশ্চিন্তা মোকাবেলায় সহায়ক এমন কয়েকটি খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
ব্লুবেরি, কমলা ও অ্যাভোকাডো
ব্লুবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানসিক চাপ দূর করতে সহায়ক। এটি হতাশা ও অনিদ্রা দূর করতেও কার্যকর।
কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতিকর ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’গুলোর সঙ্গেও লড়াই করে এই ভিটামিন।
অ্যাভোকাডোতে মেলে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। যা দুশ্চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং অপসারণ করে। ফলে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষগুলো সুস্থ থাকে।
গ্রিন টি
দুধ
স্যামন মাছ
স্যামন মাছের স্বাস্থ্যগুণের জন্য সুপরিচিত এবং প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। পাশাপাশি মানসিক চাপ দূর করতেও কার্যকর।
এতে আছে মস্তিষ্কের সেরোটনিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, যা মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিসপ্তাহে এই মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য উত্তম। এছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত মাছ যেমন- টুনা, সার্ডিনস, ম্যাকরেল ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে।
পুষ্টিগুণের কারণে বাদামি বা লাল চাল, সাদা চালের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে মিলবে প্রচুর ভিটামিন বি। আর এই ভিটামিন যথেষ্ট পরিমাণে থাকলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।
মানসিক জটিলতা থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক এই ভিটামিন বি।
পালংশাক
দৈনিক এক কাপ পালংশাক উল্ল্যেখযোগ্য হারে মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্থিরতা আনতে সক্ষম। এটি কাঁচা বা রান্না দুইভাবেই খেতে পারবেন।
কাঠবাদাম
এটি ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর তেল এবং মিনারেলে ভরপুর। খেতে পারেন হালকা স্ন্যাকস হিসেবে আবার ব্যবহার করতে পারেন বেইকিং করা খাবারে। কর্মক্ষমতা বাড়াতে, দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোন নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে কাঠবাদাম উপকারী।
দেড় আউন্স পরিমাণ ডার্ক চকলেট উল্লেখযোগ্য হারে দুশ্চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোন কমাতে সক্ষম। হতাশা, বিরক্তিভাব এবং অবসাদ মোকাবেলা করার উপাদানও আছে এতে। একগ্লাস চকলেট দুধেও একই উপকার পাওয়া যায়।
ছবি: রয়টার্স।