সুস্থ যকৃতের জন্য ওজন কমান

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির মাধ্যমে নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ) বা যকৃতে চর্বি জমে যাওয়ার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব বলে দাবি করছে নতুন এক গবেষণা।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 12:20 PM
Updated : 29 July 2015, 12:28 PM

গবেষণার প্রধান গবেষক, ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ বোলোনিয়ার জুলিয়ো মার্কেজিনি বলেন, “এনএএসএইচ’য়ের প্রকৃত কারণটা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও মধ্যবয়স্ক এবং স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা যায়।”

বাড়তি ওজন এবং মেদযুক্ত রোগীদের যকৃতে চর্বি জমে যাওয়ার সমাধান করতে ১০ শতাংশ বা এর বেশি ওজন কমানো জরুরি।

৭ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমানোর মাধ্যমে এই রোগের কিছু নির্দিষ্ট দলের রোগীদের মধ্যে এই তীব্রতা কমতে দেখা গেছে। এই দলের মধ্যে আছেন পুরুষ এবং ডায়াবেটিস নেই এমন রোগীরা।

মতান্তরে, ৯৩ শতাংশ রোগী, যাদের ৫ শতাংশের কম থেকে শুরু করে মোটেই ওজন কমেনি, তাদের যকৃতে ক্ষতের তীব্রতা বেড়েছে। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

ফ্রান্সের গুইলাউমে লাসাইলি ও তার সহকর্মীদের করা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির দ্বিতীয় গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ রোগীদেরই ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির এক বছর পরেই এনএএসএইচ সেরে যায় এবং এক বছর ফলো-আপের মাধ্যমে রোগীর প্যাথলজিকাল বৈশিষ্ট্যগুলোও কমে আসে।

অপারেশনের আগে রোগের তীব্রতা যাদের কম ছিল তাদের ৯৪ শতাংশই অপারেশনের পর সুস্থ হয়েছেন। তবে অপারেশনের আগে রোগের তীব্রতা যাদের বেশি ছিল তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭০ শতাংশ।

সময়ের সঙ্গে এনএএসএইচ থেকে হতে পারে সিরোসিস, যা যকৃতকে পুরোপুরি অকেজো ও ক্ষতপূর্ণ করে ফেলে এবং কার্যক্ষমতা হারায়।

বর্তমানে এনএএসএইচ এর কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা নেই। তবে রোগীদের ওজন কমানো, সুষম খাদ্য গ্রহণ, শরীরচর্চা করার, অ্যালকোহল সেবনে বিরত থাকা এবং বিনা প্রয়োজনে ওষুধ না খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়।

ছবি: রয়টার্স।