ভিয়েতনামের এক প্রত্যন্ত এলাকায়, একদম শেষ সীমানায়; লাওস সীমান্তের কাছে এই সান ডং গুহাটি। শুধু ভিয়েতনাম কেভ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। ইংল্যান্ড আর ভিয়েতনামের এক যৌথ প্রতœতত্ত্ব দল এই গুহাটি সবার সামনে নিয়ে আসে। সহজে কারো নজরে পড়েনি কেন এই গুহাটি এতোদিন জানো? কারণ, গুহামুখটি ছিল জঙ্গলে ঢাকা। বছর কয়েক আগে ঐ এলাকার এক কৃষক অনেকটা ভাগ্যক্রমেই এই গুহামুখের সন্ধান পান। তিনিই পরবর্তীতে অভিযাত্রী দলটিকে পথ দেখান। অনেক দুর্গম পথ পেরিয়ে অভিযাত্রী দলটি সান ডং গুহায় পৌঁছানোর পর বিষ্ময়ে একদম থ মেরে যায়। ওরা দেখে কি, একটা ইয়া বড়ো নদী ঐ গুহার মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে। আর কী বিশাল বিশাল একেকটা থাম সোজা দাঁড়ানো মাটি থেকে প্রায় ছাদ পর্যন্ত! একেকটা থাম ৭০ মিটারেরও বেশি লম্বা। মানে কিনা ২০ তালারও বেশি লম্বা! ভাবা যায়!
অভিযাত্রী দলটি সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত হেটে হেটে যেতে পেরেছিল। বন্যার পানি থাকায় আর তারা এগুতে পারেনি। তার মানে কী দাঁড়ালো, বুঝতে পারছো তো? মানে হচ্ছে, এই গুহা, আসলে আরো অনেকটা লম্বা! গুহাটির বেশিরভাগ অংশই ২৬২ ফুট বাই ২৬২ ফুট (৮০ বাই ৮০ মিটার) মাপের। এদিক থেকে এর আগে খুঁজে পাওয়া মালয়েশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ডিয়ার কেভ বা ‘হরিণ গুহা’ অনেকটাই বড়ো। ওটার মাপ হচ্ছে ৩০০ বাই ৩০০ ফুট (৯১ বাই ৯১ মিটার)। তবে কিনা, হরিণ গুহাটি মাত্র ১.৬ কিলোমিটার লম্বা। কাজেই সর্বমোট জায়গার হিসেবে সান ডং গুহাটিই হয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে বড়ো। ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা জানিয়ে রাখি এখানে। সান ডং এর মোটামুটি মাইল খানেক জায়গা ৪৬০ বাই ৪৬০ ফুট (৯১ বাই ৯১ মিটার) আয়তনের। তাহলে কী দাঁড়ালো, এটাই তো সবচেয়ে বড়ো গুহা হওয়ার দাবী রাখলো, তাই না?
কী ভাবছো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো গুহাটি একবার সামনি সামনি দেখে আসতে পারলে মন্দ হতো না, তাই তো? সে তো সুযোগ হলে যাবেই। আজ না হয় কিডজ এর পাতার ছবিগুলো মন ভরে দেখে নাও!