সোফির রাতে ঘুম আসে না। এই বয়সেই ওর সঙ্গী হয়েছে অনিদ্রা রোগ। এই অসম্ভব রোগে ভুগে সোফি কিছুতেই রাতে ঘুমাতে পারে না। তবে রাতে জেগে থাকা বা আলো জ্বলিয়ে রাখা কোনোটাই ঐ আশ্রমে চলে না। এ জন্য সোফিকে খুবই বকাঝকা করা হয়। একদিন রাতে যখন সোফি লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়ছিল তখন বাইরে একটা কিসের শব্দ হয়। সোফি কৌতূহল বশে গিয়ে দেখে বিশাল একটা মানুষের হাত। সোফি ভয়ে সিঁটিয়ে যায়। ও ঘরে ফিরে শুয়ে পরে কিন্তু বিশাল মানুষ ঠিকই ওকে দেখে ফেলে আর ওকে ঘরের ভিতরে থেকে তুলে নিয়ে যায়।
বিএফজি খুব ভালো দৈত্য। আগেই তো বলেছি ও অন্য দৈত্যদের মতো মানুষদের খেয়ে ফেলে না। ও একটা আজব সবজি খেয়ে বেঁচে থাকে। সেটাও হয় শুধু দৈত্যপুরিতেই। ওর বিছানা একটা আস্ত জাহাজ। আর ওর কাজ কী জানো? মানুষকে স্বপ্ন দেওয়া। সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন এই স্বপ্ন ধরে আনতে এসব স্বপ্ন ধরে আনতে একদিন বিএফজি আর সোফি ঘর থেকে বের হয়। তবে দৈত্যপুরির অন্য দৈত্যরা যারা মানুষ ধরে খায় তারা বিএফজিকে অনেক বিরক্ত করে। ওদের কাছে থেকে নিজেকে লুকিয়ে লুকিয়ে সোফি কোনোক্রমে বেঁচে যায়। এরপরে ওরা দুজনে স্বপ্নপুরিতে যায় স্বপ্ন ধরতে। সেসব স্বপ্ন নিয়ে ওরা আবার লন্ডন ফিরে যায় সবাইকে স্বপ্ন দিতে। এটাই তো বিএফজির কাজ।
বাড়ি ফিরে বিএফজি আর সোফি দেখে দুষ্ট দৈত্যরা বাড়িঘর তছনছ করে ফেলেছে। বিএফজির যত জমিয়ে রাখা স্বপ্ন, স্বপ্ন মিলানোর যন্ত্রপাতি সব ভেঙ্গেচুরে সোফিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। সোফি নিজেকে লুকাতে লুকাতে একটা ঘর খুঁজে পায় যেখানে ওর বয়সী একটা ছেলের জিনিসপত্র সাজানো। ও বাচ্চাটাও আগে বিএফজির সঙ্গে থাকতো তবে দুষ্ট দৈত্যরা ওকে খেয়ে ফেলেছে।
বিএফজি সিনেমাটা যদিও ২০১৬ সালে মুক্তি পায় তবে এই সিনেমাটার গল্প রোয়াল ডাল সেই ১৯৮২ সালেই লিখে গিয়েছেন। আর রোয়াল ডালের গল্প মানেই তো অন্য কিছু, সবার শোনার বাইরে সবার জানার বাইরে একটা পৃথিবীর গল্প। সেটা যদি স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো পরিচালকের হাতে সিনেমা হয় তবে সেই সিনেমা না দেখে বসে থাকা সম্ভবই না। বিএফজির অসাধারণ দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে আসতে দেখে ফেলতে পারো এই সিনেমাটি।