ডোরা যার পরিচয়

আচ্ছা তোমরা একজন আরেকজনকে কীভাবে চিনতে পারো? চেহারা দেখে তাই তো? খুবই স্বাভাবিক আমাদের এক এক জন মানুষের চেহারা এক এক রকম। জেব্রাদের বেলায় বিষয়টা খুব মজার। ওদের তো আর চেহারা দেখে বোঝার জো নেই কে কোনটা, তবে এই সমস্যারও চমৎকার একটা সমাধান রয়েছে। প্রতিটি জেব্রার গায়ের সাদা কালো ডোরার দাগ একেক রকমের। এই ডোরা দাগ দেখেই বুঝা যায় কোনটা কে, আর কার কে কী হয়। এটাকে আমরা তুলনা করতে পারি মানুষের আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে, একজনের ছাপের দাগ যেমন কিছুতেই আরেকজনের সঙ্গে মিলবে না তেমনি একটা জেব্রার ডোরা কিছুতেই অন্য জেব্রার হবে না।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2017, 09:08 AM
Updated : 29 March 2017, 09:08 AM

জেব্রারা দলবদ্ধভাবে তৃণভূমিতে বিচরণ করে। একটা দলে কয়েকটা পরিবার থাকে। আর এক একটি পরিবারে থাকে একজন পুরুষ সদস্য কয়েকজন নারী সদস্য আর ছোট ছোট জেব্রারা।

জেব্রারা মূলত তৃণভোজী। সারাদিন তৃণভূমিতে ঘুরে ঘুরে ঘাস খায়। ঘাস খাওয়ার জন্য জেব্রাদের দাঁতও বিশেষ উপযোগী। কেমন? যেমন জেব্রাদের দাঁত মূলত দুই ধরণের সামনের দিকের দাঁতগুলো তীক্ষ্ণ। এ দাঁত দিয়ে তারা ঘাস কেটে কেটে মুখে পুরে, পরে পেছনের দিকের দাঁতগুলো শক্তিশালী এবং ভোঁতা এগুলোতে ফেলে ঘাসকে পিষে ফেলে। তারপর গিলে খায়। চাবানোর সুবিধার জন্য জেব্রাদের দাঁত সারা জীবনই বাড়তে থাকে। মানে ঘাস কেটে আর পিষে ক্ষয় হওয়ার ভয় নেই। দাঁত বড় হয়েই যাচ্ছে।

জেব্রারা সর্বক্ষণ এলাকা বিচরণ করে বেড়ায় কারণ প্রতিদিনই তাদের নতুন খাবার এবং পানির সন্ধান করতে হয়। মধ্যে মধ্যে পানি এবং খাবারের সন্ধানে ঘোরা দলগুলোর সদস্য সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। মধ্যে মধ্যে তাদের দলে অন্য বিচরণকারী তৃণভোজী পশুরাও যোগ দেয়।

জেব্রাদের আরেকটা মজার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা একে অন্যের গায়ের লোম ছেঁটে দেয়। দূর থেকে যদি দেখো মনে হবে যেন একটা জেব্রা আরেকটা জেব্রাকে কামড়ে দিচ্ছে, আসলে বিষয়টা তা না। একটা জেব্রা আসলে আরেকটা জেব্রার গায়ের লোম ছেঁটে সুন্দর আকারে রাখতে সহায়তা করছে। এভাবে লোম ছাটার বিষয়টা জেব্রারা খুব পছন্দ করে। তারা খুব আরাম পায় এমন করে।