মূল বিষয়টা হচ্ছে পৃথিবীর এই বল থাকার কারণে কোনো জিনিস শূন্যে ভেসে থাকতে পারবে না তাকে মাটিতে পরতে হবেই।
তবে বিজ্ঞান আছে কী করতে? বলের বিরুদ্ধে বল দিয়ে আমরা আজ অভিকর্ষজ বলকে ঠিকই অস্বীকার করে ফেলবো।
আমাদের যা যা লাগবে—
১। একটা লোহার পেরেক
২। দুইটা দণ্ড চুম্বক
৩। স্কচ-টেপ
৪। শক্ত, মোটা সুতা
৫। চারকোণা বাক্স
যেভাবে করব—
১। প্রথমে লোহার পেরেকটাকে একটা সুতার সঙ্গে শক্ত করে বাঁধবো
২। দণ্ড চুম্বক দুটোকে জোড়া করে একটার উপরে আরেকটা লাগিয়ে দিব এবং স্কচ-টেপ দিয়ে চুম্বকটিকে সোজা খাড়া করে কাগজের বক্সের উপরের অংশে আটকে দিব।
৩। এখন সুতার মাপ নিতে হবে। পেরেক থেকে দণ্ড চুম্বকের একটু নিচে যেখানে পেরেকটিকে রাখলে সেটা স্থির থাকে সেই পর্যন্ত সুতার মাপ নিবো। আরও সহজ করে বললে নিচ থেকে চুম্বকের বলয় পর্যন্ত সুতার মাপ হবে।
৪। এখন সুতাটা বক্সের নিচে আটকে দিব। আটকে দিয়ে পেরেকটা তুলে চুম্বক বলয়ের মধ্যে নিব। দেখা যাবে যে সুন্দর মতো পেরেকটা ভেসে আছে। মোটেই টুপ করে পরে যাচ্ছে না।
কেন এমন হলো?
এ পরীক্ষায় আমরা আসলে একটা বল দিয়ে আরেকটা বলকে প্রশমিত করেছি। পাশাপাশি কিছু সহায়ক অবস্থানও তৈরি করেছি সুতা আর বাক্স দিয়ে। এই বাক্স যদি না থাকতো দণ্ড চুম্বক নিজেই অভিকর্ষের প্রভাবে নিচে পরে যেত। আর সুতা না থাকলে তো চুম্বকের সঙ্গে পেরেক লেগেই যেত।
এ পরীক্ষাটি আসলে এমনি মজা করার পরীক্ষা, তোমরা চাইলে এটিকে ম্যাজিক হিসেবেও দেখাতে পার। পৃথিবীর বুকে অভিকর্ষজ ত্বরণ মুক্ত করা একটা তাত্ত্বিক ধারণা। আসলে পৃথিবীর শক্তি এতই বেশি যে তা থেকে মুক্তি পাওয়া মোটেই সম্ভব নয়।