এমন কিছু প্রাণী আর তাদের বিশেষ গুণের কথাই আমরা জানবো—
১। খরগোশ ও টিয়া
বলো তো, আমরা কীভাবে দেখি? চোখ দিয়ে তাই তো? এরপর যখন সামনে পিছনে কিছু দেখতে হয় তখন আমরা আমাদের মাথা ঘুরাই। কিন্তু খরগোশ আর টিয়া পাখির ক্ষেত্রে বিষয়টা বেশ আলাদা। তারা কিছু দেখতে চাইলে মাথা না ঘুরিয়েও দেখতে পায়। এর কারণ কী জানো? আমরা আমাদের চোখকে একবারে একদিকেই তাকাতে পারি। ওরা চোখের মনিকেও ইচ্ছামতো দিকে ঘুরাতে পারে। তাহলে আর ঘাড় ঘুরানোর দরকার কী!
২। প্রজাপতি
আমরা কীভাবে খাওয়ার স্বাদ নেই বলো দেখি? জিহ্বা দিয়ে। কিন্তু প্রজাপতিরা যে কোনো কিছুর স্বাদ কীভাবে নেয় জানো? পা দিয়ে! তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমদের স্বাদ নেওয়ার অঙ্গ আমাদের জিহ্বা কারণ এইখানেই আমাদের স্বাদ গ্রহণের স্নায়ু থাকে, প্রজাপতিদের সেটা থাকে পায়ে।
৩। জলহস্তী
কেউ মোটা হলে জোরে দৌড়াতে পারবে না এমন একটা পচা কথা প্রায়ই মোটা মানুষদের শুনতে হয়। কেউ কেউ তো মোটা মানুষদের মনে কষ্ট দিয়ে তাকে ‘জলহস্তী’ বলে ডেকেও বসে। তবে প্রাণিজগৎ-এর মজার আইন। একটা জলহস্তী আসলে মানুষের থেকে অনেক বেশি দ্রুত দৌড়াতে পারে। এখান থেকে আমাদের কী শেখার আছে জানো? কাউকে হেয় করা যে শুধু খারাপ কাজ তাই নয়। আমরা আসলে জানিই না কী অপার শক্তি কারও ভিতরে জমা আছে!
৪। ক্যাঙ্গারু
ক্যাঙ্গারু লাফিয়ে চলে, পেটে একটা থলেতে বাচ্চা নিয়ে ঘুরে এই সবই আমরা জানি। তবে এগুলো সবের সুবিধার্থে ক্যাঙ্গারুর পা যে বিশেষ আকারে তৈরি সেটা মধ্যে মধ্যে ক্যাঙ্গারুর জন্য সমস্যার কারণও হয়। যেমন আমরা চাইলেই পিছনে ফিরে দুই পা পিছাতে পারি। ক্যাঙ্গারু কিন্তু সেটা মোটেই পারে না। তবে ক্যাঙ্গারুর এটা করার দরকারও নেই। চাইলেই তো দুই লাফ দিয়ে ঘুরে যাওয়া যায়।