কী ভাবছো? তা কী করে হয়, আমি তো বোতলটি ধরিনি? কিন্তু এটা সম্ভব। আর এটাই হলো জাদু। তবে চোখের ফাঁকির জাদু নয়। একদম এক নম্বুরী বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাসহ জাদু।
আমাদের যা যা লাগবে—
১। একটা কাঁচের বোতল
২। একটা ছোট কয়েন
৩। বরফ বা ঠাণ্ডা পানি
কীভাবে করব—
১। বোতলটা বরফে বা খুব ঠাণ্ডা পানিতে রেখে ঠাণ্ডা করব। খালি বোতলটাকে ফ্রিজে রেখেও ঠাণ্ডা করা যেতে পারে।
২। এরপর বোতলটি বের করে এর উপরে কয়েনটা রাখবো।
৩। এবার হাতের তালুটা বোতলের গায়ে ঘষবো। কিছুক্ষণ এটা অব্যাহত রাখলেই বোতলের মুখে রাখা কয়েনটা লাফ দিয়ে উঠবে।
কেন এমন হলো?
হুম বেশ কঠিন একটা প্রশ্ন, কিন্তু উত্তরটা ভীষণ ভীষণ সহজ। বোতল যখন ঠাণ্ডা করা হয়েছিল তখন এর ভেতরের বাতাসও ঠাণ্ডা ছিল। এখন বোতলের গায়ে হাত ঘষার ফলে হাতের তাপ বোতলের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এই তাপ ভেতরের বাতাসকেও গরম করবে। বাতাস যখন গরম হয় তখন এটার ঘনত্ব কমে যায়। আমরা তো জানিই গ্যাসীয় অণু তাপ পেলে আরও দূরে দূরে সরে যায়। তাই গরম বাতাসের ওজনও কমে যায়। ওজন হারিয়ে এই বাতাস উপর দিকে উঠে যেতে চায়। এখন উপর দিকে বোতলের মুখ হলো একমাত্র বাতাসের বের হওয়ার একমাত্র পথ। কিন্তু সেখানে তো বসে আছে কয়েন। গরম বাতাস এখন তার শক্তি দিয়ে আগে কয়েনটাকে ধাক্কা দিবে। এই ধাক্কাতেই কয়েনটা লাফ দিয়ে উঠবে।
মজার না জাদুটা? এবার সবাইকে দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দাও।