নিজের আলমারি গুছিয়ে রাখা

আচ্ছা তোমাদের সঙ্গে কি এমন কখনও হয় যে কাজের সময় জিনিস খুঁজে পাও না। স্কুলে যাওয়ার সময় দেখা গেলো টাই টার কোনো খোঁজ নেই। একটা মোজা আছে আরেকটা বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে।

আজিজা খানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2016, 10:46 PM
Updated : 17 Oct 2016, 05:46 AM

এ সব নিয়ে প্রতিদিন হয়তো স্কুলে দেরি হয়। ক্লাসে গিয়ে টিচারের বকুনি খাও এদিকে এগুলো সব গুছিয়ে রাখতে আম্মুর জান হয়রান হয়ে যায়।

সব কিছু ঠিক সময় ঠিক জায়গার পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে নিজের জিনিস নিজে হাতে রাখতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হল জিনিসগুলো রাখতে হবে এমনভাবে যেন ঠিকমতো খুঁজে পাওয়া যায় এবং খোঁজাখুঁজি করার সময় অন্য জিনিসও নষ্ট না হয়।

চলো তাহলে আমরা আজ কাপড়ের আলমারি গুছানোর কিছু বুদ্ধি শিখে নেই। এভাবে আমরা নিজেদের জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারবো এতে আমাদের নিজেদেরও কাজে সুবিধা হবে আবার আম্মুরও বেশ আরাম হবে।

১। যে জামাগুলো তুলনামূলক কম পরা হয় যেমন পার্টিতে পরার পোশাক, গরম কাপড়, অথবা বিশেষ কোনো পোশাক যা কেবল বিশেষ উপলক্ষে বা দিনেই দরকার হয়ে এগুলোকে উপরের তাকে রাখতে হবে।

২। রোজ পরার পোশাক যেমন বাসায় পরার জামা, স্কুলের ইউনিফর্ম, এদিকে সেদিক বা বন্ধুদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পোশাক থাকবে আলমারির তুলনামূলক নিচের তাকে। যেন চট করে বের করে পরা যায়।

৩। ছোট জিনিশগুলো যেমন মোজা, রুমাল, মাথার ব্যান্ড, টাই, বেল্ট এগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে। এগুলো রাখার জন্য আলমারির ভিতরে আলাদা বাক্স রাখা যায় আবার ড্রয়ারেও রাখা যায়। এভাবে রাখলে সেগুলো হারিয়ে যাবে না এবং সেগুলো খুঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অন্য পোশাকও এলোমেলো হবে না। আর দুইটা মোজাকে একসঙ্গে একটা ক্লিপ দিয়ে আঁটকে রাখলে জীবনেও হারাবে না।

৪। প্রতিটা পোশাক ভাঁজ করার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। নতুন পোশাকের ভাঁজটা একটু মন দিয়ে দেখলেই এই ভাঁজ করার নিয়ম শেখা যায়। এভাবে সঠিক নিয়মে ভাঁজ করে  রাখলে পোশাকগুলো সুন্দরভাবে সজ্জিত থাকে। তখন আলমারিটাও দেখতে পরিপাটি দেখায়।

৫। বাইরে থেকে এসে ঘামে ভেজা কাপড় খুলেই সঙ্গে সঙ্গে ভাঁজ করা যাবে না। কাপড়কে আগে হ্যাংগারে করে বাতাসে ঘাম শুকাতে দিতে হবে এরপর ভাঁজ করতে হবে।

৬। কিছু পোশাক যেমন বড় জ্যাকেট, অনেক কারুকাজ করা জামা ভাঁজ করা সম্ভব হয় না ভাঁজ করলেও ফুলে ফুলে থাকে এমন পোশাককে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে সুবিধা হয়।

৭। কোনো পোশাক ময়লা হলে সেটাকে এখানে সেখানে না রেখে নির্দিষ্ট একটা বালতি বা লন্ড্রি বাস্কেটে রাখতে পারি। এতে জামাটাও এলোমেলো হবে না, ঘরের এখানে সেখানে হারিয়েও যাবে না। কাপড় যিনি ধুয়ে দেন তার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৮। বিভিন্ন ধরণে জুতা স্যান্ডেল ইত্যাদি রাখতে হবে আলমারির একদম নিচের তাকে। তবে আলমারিতে তোলার আগে জুতা থেকে ময়লা, কাদা, মাটি পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। এতে আলমারির ভিতরে ছত্রাকের আক্রমণ রোধ করা যায়।

৯। আলমারিতে পোকা যেন বাসা না বাঁধতে পারে তাই আলমারির ভিতরে কর্পূরের দানা বা বল দিয়ে রাখতে হবে। কালোজিরা সুতির কাপড়ে বেঁধে ছোট ছোট পুঁটুলি বানিয়ে রাখলেও পোকা-মাকড়রে রোধ করা যায়।

১০। আলমারি নিয়মিত গুছাতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কারও করতে হবে না হলে কয়েকদিনের মধ্যেই আলমারি একদম এলোমেলো হয়ে যাবে।

ছবিতে দেখো আমাদের বন্ধু মাহিকা কী সুন্দর করে তার আলমারি গুছিয়েছে। কিছু পুতুলকেও আলমারিতে রেখে দিয়েছে যেন তারা জামাকাপড়দের ভালোভাবে দেখেশুনে রাখতে পারে ।