ধারণা করা হচ্ছে বামন গ্রহটির পথের পরিমাণ হবে ৫৩০ কিলোমিটারের মতো, প্লুটোর যেটা ২৩৭৪ কিলোমিটার। প্লুটো ছাড়া আর পাঁচটি বামন গ্রহ যারা এখন পর্যন্ত গ্রহের মর্যাদা পেয়েছে তাদের নাম জানো কী? সেরেস, এরেস, মেকমেক এবং হুমায়া। এ ছাড়াও এ বছরের শুরুর দিকে আরও একটা গ্রহকে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কেউ ওর নাম দেয়ননি জানো? বিজ্ঞানীদের হিসাবের খাতায় যেভাবে নাম লেখা হয় সেইভাবে এখনও ওর নাম রয়ে গিয়েছে, 2015 RR245, কী বিদঘুটে না, বলো তো!
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এই বামন গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন যার নেতৃত্বে রয়েছেন ডেভিড গার্ডেস। কম্পিউটারের স্পেশাল একটি সফটওয়ারে এটা আবিষ্কৃত হয়েছে। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ১৩.৭ বিলিয়ন কিলোমিটার। এটা আসলে অনেক দূরে, এর অর্ধেক দূরত্বে সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুটো অবস্থিত। তবে প্লুটো গ্রহ কি না এটা নিয়েই বিজ্ঞানীরা বার বার মত বদলাচ্ছেন।
সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে এই গ্রহের সময় লাগে ১১০০ বছর, পৃথিবীর লাগে মাত্র ১ বছর। মানে বুঝলে? ওদের গ্রহে ঋতুবদল হতে ১১০০ বছর সময় লেগে যায়। প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে এই গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে।
বিজ্ঞানীরা এখনও এই বামন গ্রহটাকে নিয়ে তেমন কিছুই জানেন না। শুধু জানেন এর কক্ষপথটা কেমন হতে পারে আর জানেন যে এটার অস্তিত্ব আসলেই আছে। বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করতেন আমাদের সৌরজগতের বাইরে আরও বিশাল সব সৌরজগত রয়েছে। এটার আবিষ্কারের পরে সেই সব অজানা জগত সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া গেল। এখন বিজ্ঞানীরা আরও আগ্রহ নিয়ে এদের খোঁজ তালাশ চালাচ্ছেন।
যদি তাদের হিসেব মতো মিলে গিয়ে নতুন গ্রহটি বামন গ্রহের মর্যাদা পায় তাহলে এটি হবে সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্য।
গ্রহের মর্যাদা মিলুক কি না মিলুক। সৌরজগত কিন্তু ছোট একটা নতুন বন্ধু পেয়েই গিয়েছে।