উইচ হওয়া কাজটা অবশ্য এত সহজও নয় যে কেউ চাইলেই হয়ে যাবে। তাই কিকিকে একটা নতুন শহরে আসতে হয়। এই শহরে কিকিকে উইচ হওয়ার ঠিক ঠাক ট্রেইনিং নিতে হবে। কিন্তু সমস্যা মোটেই এখানে শেষ নয় বরং শুরু। এখানে কিকিকে থাকার জায়গা লাগবে সঙ্গে অন্য সবও। আর এগুলো নিজেই খুঁজে নিতে হবে। বেচারা কিকি! এই দুঃখের সময় একমাত্র সাথী জিজিকে নিয়ে ঝাড়ুতে চরে কিকি চলে আসে বন্দর নগরী কওরিকোতে। ওহ জিজির সম্পর্কে তো বলিই নাই। জিজি হল কিকির বিড়াল। কিকি যেহেতু জাদুকর ওর বিড়ালও যেই যেই বিড়াল নয়। জিজি কথা বলা কালো একটি বিড়াল।
এরপর কী হয় তা জানতে তোমাদের দেখতে হবে কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস অ্যানিমেটেড সিনেমাটি। এই সিনেমা সম্পর্কে একটা মজার তথ্য তোমাদের দেই এই সিনেমাটি প্রথম মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। তোমাদের অনেকের জন্মেরও আগে। জাপানে হায়ায়ো মিয়াজাকি নামে একজন প্রবাদতুল্য অ্যানিমেশোন মুভির ডিরেক্টার আছে। এই সিনেমটা তার বানানো একটি অন্যবদ্য কাজ। আর এই সিনেমার গল্পটি লিখেছিলেন এইকো কোডনো। সেও ১৯৮৫ সালে। দারুন জনপ্রিয় সেই উপন্যাসটি পরে আনিমেটেড মুভি আকারে মুক্তি পাওয়ার পরেও বেশ সারা পায়। তবে এই সুন্দর সিনেমটাইর খোঁজ ডিজনি বেশ দেরিতে পায় তাই তো সিনেমাটির ইংলিশ ডাবকৃত ভার্শন মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।