আমরা কি জানি এই অ্যানিমেশনের শুরু কোথায়? ফ্রান্সে চার্লি-এমিল রিনইয়ু (Charles-Émile Reynaud ) বলে একজন উদ্ভাবক ছিলেন। তিনি ভেবে দেখলেন হাতে আঁকা কার্টুনগুলোকে চেষ্টা করলে নড়ানো চড়ানো যায়। কীভাবে? একটা ছবির কিছু অংশ অল্প একটু বদলে বদলে এঁকে যদি সেগুলোকে খুব দ্রুত গতিতে চালানো যায় তবে মনে হবে যে কার্টুনগুলো চলছে। এই বুদ্ধি মাথায় নিয়ে তিনি একটি মেশিন বানালেন। সেই মেশিনে ছবিগুলো লম্বা করে পর পর এঁকে সেগুলোর সামনে পরপর আয়না বসিয়ে হাতে চালানো একটা চাকা ঘুরিয়ে বানানো হল প্রজেকশন মেশিন। তবে রিনইয়ু এতেও সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি ছবিগুলো একটা ফিল্মে আঁকলেন এবং পিছনে একটা দৃশ্যের ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়ারও ব্যবস্থা করলেন। পুরো জিনিসটা ছিলো বায়স্কোপ বক্সের মতো। সেটাতেও রিনইয়ুর মন ভরলো না। উনি শেষে বানালেন বেশ জটিল একটি যন্ত্র, যেটিতে একই সঙ্গে সামনের ছবি পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং সামনের আয়না একই গতিতে ঘুরে একটা চলমান কার্টুন চিত্র তৈরি করে।
চার্লি-এমিল রিনইয়ু’র এই প্রচেষ্টার ফলেই আজকে অ্যানিমেশন এই পর্যায় গিয়ে পৌছাতে পেরেছে। তার সেই কাজের স্বীকৃত সরূপ আজকের দিনকে অর্থাৎ ২৮ অক্টোবরকে ২০০২ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যানিমেটেড ফিল্ম এসোসিয়েশন এই দিনকে আন্তর্জাতিক অ্যানিমেশন দিন ঘোষণা করে।
তোমরা কীভাবে আজকের দিনকে উৎযাপন করতে পারো জানো? খুব সহজেই। একটা অ্যানিমেটেড সিনেমা দেখে ফেলো। নিজের আঁকা কোনো ছবিকে অ্যানিমেশন করার চেষ্টা করো। চার্লি-এমিল রিনইয়ু সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করতেও পারো। অথবা তার বানানো প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমাটাই দেখে ফেললেও মন্দ হয় না।