ম্যাজিক: শূন্যে ভাসা গ্লাস

আজকে আমরা একটা কাগজের গ্লাসকে শূন্যে ভাসিয়ে দিবো। কীভাবে? কীভাবে আবার, ম্যাজিক দিয়ে! বিশ্বাস হচ্ছে না তো। সে তো হবেই না। কারণ ম্যাজিক বলে সত্যি তো কিছু নেই। ম্যাজিক হচ্ছে ভেলকিবাজি আর চোখের ধাঁধাঁ। সেই ধাঁধাঁটা কীভাবে আমরা উপস্থাপন করবো তাঁর উপরই নির্ভর করছে আমাদের ম্যাজিকের সাফল্য।

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2015, 10:58 AM
Updated : 6 Oct 2016, 00:13 AM

এই ম্যাজিকটি করতে আমাদের শুধুমাত্র একটা কাগজের কাগজের গ্লাস লাগবে। ম্যাজিকটি কাগজের কাপেও হবে তবে গ্লাস নেওয়াই ভালো গ্লাস বড় বলে এটায় কাজ করাও সুবিধাজনক হবে। আমাদের দর্শকেরা দেখবে যে আমরা ডান হাত এবং বাম হাত দিয়ে একটা গ্লাসকে না ধরে তার আশেপাশে শুধু আঙ্গুল নড়িয়ে নড়িয়ে গ্লাসটিকে উপরে তুলে ফেলবো। কিন্তু কীভাবে, সেটা শুধু আমরাই জানবো।

এখন জানার পালা এটা কীভাবে হলো। পুরো ম্যাজিকটায় খুব সরল একটা ফাঁকি আছে। সেটা কি জানো? সেটা হচ্ছে আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি। মানে হচ্ছে যেই আঙ্গুলটি তুলে আমরা ‘লাইক সাইন’ বোঝাই। সবাই আমাদের দুই হাতের বাকি চারটা আঙ্গুল দেখতে পাচ্ছে আর ভাবছে গ্লাসের আড়ালে আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলিটি আছে। অবশ্যই বৃদ্ধাঙ্গুলি গ্লাসের আড়ালে আছে তবে ঠিক আড়ালে নয়।

গ্লাসের পেছনে আগেই আমরা লম্বালম্বি ভাবে একটা কাটা অংশ রেখেছি। সেই কাটা অংশ দিয়ে আমরা আমাদের একটি বা দুইটি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিকে ঢুকিয়ে দিয়েছি। এখন বৃদ্ধাঙ্গুলিগুলো যেহেতু গ্লাসের ভিতরে শক্ত অবস্থানে আটকে আছে আমরা আমাদের দুই হাতের বাকি আঙ্গুলগুলোকে দুইদিকে ছড়িয়ে দিবে আর হাতটাকে উপরের দিকে নিয়ে আসবো। মনে হবে যেন হাত দিয়ে একদম স্পর্শ না করেই আমরা গ্লাসটিকে তুলে ফেলেছি।

এখন দর্শকদের মনে একটু একটু সন্দেহ বাসা বাঁধতে পারে। এই সন্দেহ দূর করার জন্য একটা একটা করে হাত পুরোপুরিভাবে গ্লাস থেকে সরিয়ে উপরে তুলে নাড়িয়ে দেখাতে পারো। দর্শক আরেকটু বিভ্রান্ত হবে। এই সুযোগে তুমি আরও নিখুঁতভাবে তোমার কারসাজি সেরে ফেলতে পারবে।

এখন পুরো বিষয়টাই হচ্ছে আমাদের প্র্যাকটিস। আমরা যত বেশি প্র্যাকটিস করবো তত দক্ষতার সাঙ্গে ম্যাজিকটি উপস্থাপন করতে পারবো।