তবে বরফের শীতলতাই শীতল অনুভূতির চরম অবস্থা নয়। কারণ শীতল আরও অনেক পদার্থ রয়েছে যাদের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের অনেক কম। প্রশ্ন হচ্ছে, বরফের তাপমাত্রা কি এর থেকে কমানো সম্ভব? আমরা যদি শুধু বরফ নেই তাহলে বিষয়টি বেশ কঠিন কেননা বরফ হচ্ছে পানির একটি রূপান্তর মাত্র। পানি যখন তার হিমাংকে পৌছায় তখন কঠিন আকার ধারণ করে, যাকে আমরা বরফ বলি। এটা পানির বেশ স্থিতিশীল একটা অবস্থা এই অবস্থায় পৌঁছে গেলে বরফ নিজে থেকে তাপ গ্রহণ বা ত্যাগ করে না তাই বরফকে আরও শীতল করা একটু কঠিন কাজই ।
এই কঠিন কাজটাই আমরা আজকে করবো। বরফকে আরও শীতল করব অর্থাৎ এর তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি থেকেও কমিয়ে ফেলবো।কাজটা খুব কঠিন। এই কঠিন কাজটাই আমরা করব। করে আবার কীভাবে এটি করলাম তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিবো। বৈজ্ঞানিকব্যাখ্যা পরে তোমার বিশ্বাসই হবে না এত সহজ এর ব্যাখ্যা হতে পারে।
আমাদের যা যা লাগবে—
১। বরফের টুকরা এক বাটি
২। একটা থার্মোমিটার
৩। লবণ
যেভাবে করবো—
পরীক্ষার একমাত্র উপকরণ লবণ। তাহলে বুঝতেই পারছো সব কীর্তির জন্য দায়ী এই লবণই। আমরা বাটি ভর্তি বরফের টুকরায় লবণ ছিটিয়ে দিবো। থার্মোমিটার ধরলে দেখা যাবে বরফের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি থেকে দ্রুত কমে যাচ্ছে। কমতে কমতে মাইনাস একুশ-বাইশ ডিগ্রি পর্যন্তও নেমে যাচ্ছে আধ ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু কীভাবে?
সেই যে শুরুতে একটা কথা বলেছিলাম, বরফ থেকে বেশি তাপমাত্রার কোনো বস্তু থেকে তাপ বরফের দিকে প্রবাহিত হয়। লবণের তাপমাত্রা বরফের থেকে বেশি। তাই তাপমাত্রা লবণ থেকে বরফের দিকে প্রবাহিত হয়। এই তাপ প্রবাহের ফলে বরফ গলেও যায়। কিন্তু, বরফ গলতে গেলে কিছু শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি ব্যয় করে বরফের তাপমাত্রা আরও কমে যায়।
এভাবে বরফের উপাদানের বিশুদ্ধতাও নিশ্চিত করা যায়। যদি কখনও শূন্য ডিগ্রির অনেক কম তাপমাত্রার বরফ পাও। নিশ্চিত জেনে নিবে এখানে অন্য কোনো উপাদান মিশ্রিত আছে।