আকাশের মেঘ না হয় এমন একটা কিছু করলো কিন্তু একটা পাথরের চাঁই, গাছের গুড়ি এরাও মাঝে মাঝে আমাদের চেনা জিনিসের মতো দেখতে হয়। এমনকি কফির কাপে চুমুক দেওয়ার আগেও কখনও ফেনার মাঝে একটা ব্যাঙ বা মানুষের মুখ দেখে চমকে উঠতে পারো।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন এরকম হয়? এ ঘটনাগুলো কি আসলেই দৈবযোগ বা ভূতের কাজ নাকি এর পেছনেও কোনো ব্যাপার আছে। বিজ্ঞানীরা বলেন এ ঘটনাগুলো কোনটাই দৈবযোগ নয়। ভূতের কাজ তো নয়ই। পুরোটাই হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের খেলা। কেমন খেলা জানো? ধরো তোমাকে যদি আমি একটা গল্প বলি, একটা গ্রামের বাড়ির গল্প তুমি গল্পটার দৃশ্যপট কল্পনা করতে চেষ্টা করবে। তুমিও একটা গ্রামের বাড়ি ভাববে কিন্তু সেই গ্রামের বাড়িটা হবে তোমার দেখা কোনো গ্রামের বাড়ি হয়তো তোমার নানুবাড়ি বা তোমার দাদুবাড়ি। এখন যদি আমি বলি সেখানে ছিলো একটা পুকুর। অথচ তোমার দাদুর বা নানুর কারও বাড়িতেই তুমি পুকুর দেখোনি। তুমি পুকুর দেখেছি অন্য কোথাও। তোমার কল্পনাতে সেই পুকুরটা তোমার দাদু বা নানুবাড়ির কল্পনার সাথে জুড়ে যাবে। মানুষের মন ঠিক এভাবেই কল্পনা করে থাকে।
Pareidolia সম্পর্কে অনেক কিছু জানার পরে যেটা জানা তোমার জন্য সবচেয়ে জরুরী সেটা হচ্ছে, তুমি চাইলেও এরকম কিছু করতে পারো। নিজে নিজে নিত্য ব্যবহারের জিনিস একটার সাথে আরেকটা জুড়ে একটা Pareidolia ভাস্কর্য বানাতে পারো। পুরো কাজটা করে তুমি যেমন মজা পাবে তেমন পৃথিবীকে একটা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে চিনতেও শিখবে।