বেলুন গাড়ি

বিজ্ঞানের একটি খুবই মজার বিষয় তবে এর সবচেয়ে মজাটা দিকটা কি জানো? এর প্রয়োগে। আমরা যদি একটা বিজ্ঞানের সূত্র বা যুক্তি পড়ি তাহলে আমরা যত না মজা পাবো তারচে অনেক বেশি মজা পাবো যদি হাতে কলমে সূত্র বা যুক্তিটির সত্যতা যাচাই করি। যেমন ধরো নিউটনের গতি সম্পর্কিত সূত্রগুলো। তিনটি সূত্রের মধ্যে ৩য় সূত্রটি খুবই জনপ্রিয়। এই সূত্রটিকে ভিত্তি করে রকেটের জ্বালানী দেয়া হয়। সেই সূত্রটি কী তা কি তোমরা জানো? প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ভয় পেও না এখনই তোমাকে রকেট সায়েন্স বুঝতে হবে না। সহজ কিছু দিয়েই আমরা এটি বুঝতে পারি।

রাসয়াত রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2015, 11:31 AM
Updated : 6 Oct 2016, 00:07 AM

আমরা আজকে একটা বেলুন গাড়ি বানাবো। বেলুনের বাতাস যে দিক দিয়ে বের হবে তার বিপরীতে সেই বাতাস একটা শক্তি প্রয়োগ করে। এখন এ বিপরীতমুখী শক্তি যে সত্যিই বাতাস প্রয়োগ করে তাঁর প্রমাণ হচ্ছে বাতাস যেদিক দিয়ে বের হয়ে যাবে গাড়ি তাঁর বিপরীত দিকে অগ্রসর হবে। দেখা যাক আসলেই বিষয়টি সেরকম না-কি।

এ পরীক্ষা করতে আমাদের যা যা লাগবে—

১। একটি বেলুন

২। শক্ত, আয়তাকার একটা কার্ড-বোর্ড

৩। স্কচ-টেপ

৪। স্ট্র ২টি

৫। প্লাস্টিকের বোতলের মুখ ৪টি

৬। বাঁশের বড়, সরু কাঠি ২টি

যেভাবে করব—

১। আয়তাকার কার্ডবোর্ডের প্রস্থ বরাবর দুটি স্ট্র সমান্তরাল করে লাগিয়ে দিবো। একাজে স্কচ-টেপ ব্যবহার করবো।

২। এই স্ট্রর ভিতর দিয়ে বাঁশের সরু লম্বা কাঠিগুলো ঢুকিয়ে দিবো এবং কাঠির প্রতি প্রান্তে একটি করে বোতলের মুখ চাকার মতো করে লাগাবো।

৩। বেলুনটির মুখে অবশিষ্ট স্ট্রটি আটকে দিবো। এই স্ট্র দিয়ে আমরা বেলুনে বাতাস ঢুকাবো তাই স্ট্রটি বেলুনের ভিতরে এমন করে আটকাবো যেন বাতাস ভরার সময় বাতাস বের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো ফাঁক না পায়।

 ৪। এবার বেলুনটি ফুলিয়ে স্ট্রর মুখ আটকে ধরে একে কার্ডবোর্ডের সাথে আটকে দিবো। আটকে এখন স্ট্রর মুখ খুলে দিলেই সেটা সাঁই করে সামনে এগিয়ে যাবে।

কেন যাবে জানো? কারণ বাতাস বিপরীত দিকে গিয়েছে। এবং মহান বিজ্ঞানী নিউটন বলেছেন, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

এই গাড়ি তুমি কার্ড বোর্ডের বদলে দুধের খালি কার্টন বা যে কোনো প্লাস্টিকের বোতল দিয়েও করতে পারো। এখন মজার এই গাড়ি বানাও দেখি একটা।