চতুর্ভুজ থেকে সিংহ

তোমরা  কি জানো ছবি আঁকার জন্যে সবসময় যে সঠিক মাপ বা আকারের প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। তুমি কোনো কিছুর আকৃতি বদলেও জিনিসটি আঁকতে পারো। যেমন আজ আমরা একটা  চতুর্ভুজ থেকে সিংহ আঁকবো। ভাবছো, সিংহ? সেটি আবার চতুর্ভুজ থেকে কীভাবে হবে?

>> আজিজি ফাওমি খানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 07:53 AM
Updated : 6 Oct 2016, 00:12 AM

আসলে জানো কি, ছবি আঁকার হাজার রকমের ধারা আছে। কিছু কিছু ধারায় ছবিটাকে এমনভাবেই আঁকা হয়, ঠিক যেন ক্যামেরায় তোলা ফটো। কিন্তু কিছু ধারা আছে এখানে বাস্তবের থেকে কল্পনার আশ্রয় বেশি নেওয়া হয়। আর কল্পনায় তো যে কোনো কিছুই হতে পারে।

মহান শিল্পীরা কিন্তু নানানভাবে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেন। এই ভাব প্রকাশে কখনও আকৃতির পরিবর্তন হয়। কখনও বা আকারের। আবার কখনও রঙের। মূল বিষয়টি হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করা। তোমরা যত বড় হবে তত এইসব ধারা এবং মনের ভাব প্রকাশের ধারণাটির সঙ্গে পরিচিত হতে থাকবে।

কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলো আজ একটা অন্য ধরণের চারকোণা মুখের সিংহ আঁকি--

আমাদের যা যা লাগবে--

১। কাগজ

২। পেনসিল

৩। ইরেজার

৪। শার্পনার

৫। রঙ

যেভাবে করবো--

১। প্রথমে একটি চতুর্ভুজ আঁকি। চতুর্ভুজটা একটু কাত করা হবে। এটি হবে সিংহটির মুখ।

২। এবার সিংহের মুখের চারপাশে সিংহের কেশর আঁকি ছবির মতো করে।

৩। এরপরে আঁকবো সিংহের শরীর আর তিনটি পা।

আমাদের সিংহটি হেঁটে বেড়াচ্ছে তো, তাই তিনটি পা দেখা যাচ্ছে।

৪। এখন আঁকবো সিংহের লেজ।লম্বা লেজের শেষে একটু ছোট্ট ঝুটির মতো চুলও দিতে হবে।

৫। সিংহের চোখগুলো আঁকা সবচেয়ে সহজ, শুধু একটি বৃত্তের ভিতরে আরেকটি ছোট কালো বৃত্ত।

৬। এবার সিংহের নাক এঁকে ফেলি। নাকটি হবে একটি ত্রিভুজের মতো।

৭। এখন সিংহের মুখ এঁকে ফেললেই আঁকা হয়ে গেল আমাদের সিংহ।

এবার আমাদের সিংহকে রং করার পালা। আমাদের সিংহের রং হলুদ, আর তার কেশরের রং কমলা।

তুমি চাইলে তোমার সিংহের রঙ গোলাপি বা নীলও হতে পারে। কারণ তোমার কল্পনার জগতটাই তো তোমার ছবির মাধ্যমে বের হয়ে আসবে।